বরিশাল প্রতিনিধি ॥ গ্রেফতারী পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) ছাড়াই এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে গিয়ে জনতার তোপের মুখে পড়েছে নগরীর কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ। পরে এমপি’র হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। দাবিকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে পুলিশ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারের চেষ্টা করেছিলো বলে অভিযোগ উঠেছে।
নগরীর বাংলাবাজার রিফুজি কলোনীর বাসিন্দা হোটেল ব্যবসায়ী কাজী সোহাগ জানান, তার কাছে শুক্রবার রাতে গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করে কোতয়ালী মডেল থানার এএসআই সুমন। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় এএসআই সুমন তার (সোহাগ) পরিহিত গেঞ্জির কলার ধরে গাড়িতে উঠানোর চেষ্টা করে। এসময় তার ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে এএসআই সুমনের কাছে গ্রেফতারি পরোয়ানা দেখতে চান। তা দেখাতে ব্যর্থ হয়ে এএসআই সুমন পরিস্থিতি বেগতিক দেখে কোতয়ালী থানাকে বিষয়টি অবহিত করেন। থানা থেকে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হলে স্থানীয় জনতার সাথে পুলিশের তুমুল বাগ্বিতন্ডা বাঁধে। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন সদর আসনের সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজ। তিনি বিষয়টি শুনে এএসআই সুমনকে ভৎসনা জানিয়ে এভাবে নিরিহ লোকদের হয়রানী না করার জন্য পুলিশকে সর্তক করে দেন। এএসআই সুমনের কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি নিজে কিছু বলতে অপরাগতা প্রকাশ করে থানার ওসি’র সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ করেন। কোতয়ালী থানার ওসি শাখাওয়াত হোসেন বলেন, অনাকাঙ্খিত এবং ভুল বোঝাবুঝির কারনে এমন দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে তা অবসান হয়েছে।