ভারতের ভবিষ্যৎ তারকা রিশাব পান্ত। আগের ম্যাচে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট ইতিহাসের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েছেন। আর এবার যুব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে সেঞ্চুরি হাঁকালেন এই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান। বিশ্বকাপে আগের তিন ম্যাচে দুটি ফিফটি করার পর এলো এই সেঞ্চুরি। পান্তর ১১১ এবং সরফরাজ খান ও আরমান জাফরের ফিফটিতে নামিবিয়ার বিপক্ষে রানের পাহাড়ই গড়েছে ভারতের যুবারা। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ৩৪৯ রান করেছে তারা।
তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারতের জন্য নামিবিয়া বড় প্রতিপক্ষ না। কিন্তু গতবারের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলছে নামিবিয়া। তাই তাদের হেলাফেলার উপায় নেই। সেটাই তারা বোঝাতে চাইলো শুরুতে। ফ্রিটজ কোয়েতজিকে দলের ১৮ রানের সময় অধিনায়ক ইশান কিশান ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন।
এই ধাক্কা সামলে পাল্টা আক্রমণে গেছে ভারত। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ১৮ বছরের পান্ত। আনমোলপ্রিত সিংয়ের সাথে দ্বিতীয় উইকেটে তার ১০৩ রানের জুটি হয়েছে। ১৮তম ওভারে এই জুটি বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে ভারত পেয়েছে ১২১ রান। আনমোলপ্রিত ৪২ বলে ৪১ রান করে বিদায় নিয়েছেন। ৪৬ বলে ৫০ করা পান্তের ব্যাটের ধার আরো বেড়েছে। মিডল অর্ডারে বড় ভরসা সরফরাজের সাথে ৬২ রানের জুটি হয়েছে তার। পান্ত সেঞ্চুরি করেছেন লেগ সাউডে বাউন্ডারি মেরে। ৮২ বলে ১০০ হয়েছে তার। শেষ পর্যন্ত এই ওপেনার ৯৬ বলে ১৪ চার ও ২ ছক্কায় ১১১ রান করে ফিরেছেন।
সরফরাজ-আরমানের চতুর্থ উইকেট জুটি এরপর ভোগাতে থাকে নামিবিয়াকে। ৯৮ রানের জুটি গড়েছেন তারা। ব্যাটিং রোটেট করে দ্রুতগতিতে এগিয়েছেন তারা। ‘রান এ বল’ ৭৬ রান করেছেন সরফরাজ। ৬টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা মেরেছেন। আরমান ৫৫ বলে ৬৪ রান করেছেন। শেষদিকে ঝড় তুলেছিলেন মহিপাল লমরোর। ২১ বলে ৪১ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তার ঝড়ো এই ইনিংসে ছিল ১টি চার ও ৩টি ছক্কার মার।