বরিশাল প্রতিনিধি ॥ শেরে-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) জনবল নিয়োগের নামে মোটা অংকের টাকা ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়টি অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নিয়োগ স্থগিত করার পর সরকারি আদেশের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নামে যারা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারা করেছে তাদের পৃথক তালিকা হচ্ছে। তালিকায় আন্দোলনকারীদের পাশাপাশি তাদের ইন্ধনদাতা হিসাবে হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা জড়িত থাকলে তাদের নামও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পরবর্তীতে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি ইন্ধনদাতাদের চাকরিবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে পৃথক শাস্তির আওতায় আনা হবে। সূত্রে আরও জানা গেছে, গত ডিসেম্বরের শুরুতে হাসপাতালে ২২৬জন কর্মচারী নিয়োগ করা হয়। কিন্তু তড়িঘড়ি এই নিয়োগ নিয়ে প্রায় ১ কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে তৎকালীন পরিচালক ডাঃ নিজাম উদ্দিন ফারুক, উপ-পরিচালক ডাঃ শহীদুল ইসলামসহ আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম গত ১৫ ডিসেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটির সদস্যরা তাদের অনুসন্ধানে নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পান। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর পরিচালক ও উপ-পরিচালকসহ তিন নিয়োগ কর্মকর্তাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসাথে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। পরে স্থগিত হওয়া নিয়োগ আদেশের বিরুদ্ধে নিয়োগপ্রাপ্তরা বিক্ষোভের নামে ব্যাপক ভাংচুর, মিছিলসহ নানা অপতৎপরতা চালিয়ে হাসপাতালের কার্যক্রম ব্যাহত করে।
বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে শেবাচিম হাসপাতালের নবাগত পরিচালক ডাঃ সিরাজুল ইসলাম জানান, নিয়োগ কার্যক্রমে যে ঘুষ-বাণিজ্য করা হয়েছে তা উদ্ঘাটন করার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে দুদককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়া যারা সরকারের আদেশের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারা করেছে তাদের তালিকা প্রস্তুত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।