ইংল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কা

0
507

এই ম্যাচের আগে বাজি ধরার জন্য ইংল্যান্ড ছিল এগিয়ে। কারণও আছে। সাবেক চ্যাম্পিয়নরা গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচই জিতেছে দাপটে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ব্যাটসম্যান, বোলাররা ফর্মেই ছিলেন। গ্রুপ রানার্স আপ হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে আসে শ্রীলঙ্কা। তাদের সামনে ইংল্যান্ডকে ফেভারিট মনে হচ্ছিল। কিন্তু ক্রিকেট সব পর্যায়েই মহান অনিশ্চয়তার খেলা। এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই তাই বিদায় নিতে হলো ইংলিশদের। তাদের ৭ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে গেলো লঙ্কানরা।

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে রবিবারের এই ম্যাচে টস জিতে ইংল্যান্ডের ব্যাট করার সিদ্ধান্তটা ভুল প্রমাণিত হলো। শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে তাদের উইকেট তুলে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ৪৯.২ ওভারে ১৮৪ রানে অল আউট হলো ইংলিশরা। মাঝারি টার্গেট জয় করতে বেশি বেগ পেতে হয়নি লঙ্কানদের। ৩৫.৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়েই ১৮৬ রান করে সেমিফাইনালে খেলা নিশ্চিত করে ফেলেছে তারা। ৯ ফেব্রুয়ারি সেমিফাইনালে ভারতের সঙ্গে লড়বে শ্রীলঙ্কা।

ইংলিশদের জবাব দিতে নেমে দুই লঙ্কান ওপেনার কাভিন বান্দারা ও আভিস্কা ফার্নান্দো প্রায় অর্ধেক কাজটা করে দিয়েছেন। উদ্বোধনী জুটিতে ৭৬ রান এনে দেন তারা। মাঝারি পুঁজি সামলাতে বোলিংয়ে যে আগুন ঝরানোর দরকার ছিল, তা করতে পারেনি ইংল্যান্ড। বান্দারা ২২ রানে আউট হওয়ার পর কামিন্দু মেন্ডিসকে (১০) হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু তৃতীয় উইকেটে ৬৯ রানের জুটি গড়ে ফেললেন ফার্নান্দো ও চারিথ আসালাঙ্কা। চমৎকার খেলা ওপেনার ফার্নান্দোর বুক ভাঙ্গা ঘটনা ঘটেছে। ৯৫ রান করে আউট হয়েছেন ম্যাচের সেরার পুরস্কার পাওয়া এই খেলোয়াড়। একটুর জন্য সেঞ্চুরিটা হলো না। ৯৬ বল খেলেছেন। ১১টি চার ও ১টি ছক্কা মেরেছেন। তিনি দলের ১৭১ রানের সময় আউট হলেও জয় পেতে কোনো সমস্যা হয়নি লঙ্কানদের। অধিনায়ক আসালাঙ্কা ৩৪ রানে অপরাজিত থেকেছেন।

এর আগে কুয়াশা ঢাকা সকালে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে উইকেট হারিয়েছে ইংল্যান্ড। প্রথম দুটি আঘাত পেসার আসিথা ফার্নান্দোর। তাতে ১৮ রানে ২ উইকেট হারানো দল হয়ে যায় ইংলিশরা। এর মধ্যে একটি উইকেট এবারের আসরের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস খেলা ড্যান লরেন্সের। মাত্র ৯ রান করতে পেরেছেন তিনি। লরেন্স ব্যর্থ হওয়ায় এবারের আসরে দুই সেঞ্চুরি করা জ্যাক বার্নহ্যামের ওপর নির্ভর করতে চেয়েছে ইংলিশরা। কিন্তু বার্নহ্যামকে মাত্র ১১ রানেই ফিরিয়ে দিয়েছেন লেগ স্পিনার ওয়ানিদু হাসারাঙ্গা। হাসারাঙ্গা ইনিংসের সেরা বোলার। ১০ ওভারে ৩৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন।

ক্যালাম টেলর ও জর্জ বার্টলেট মিলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ৩৫ রানের জুটি গড়ার পরই বিচ্ছিন্ন হতে হয়েছে তাদের। টেলর ইনিংস সর্বোচ্চ ৪২ রান করেছেন। এরপর ৩৮ রানের জুটি হয়েছে বার্টলেট ও স্যাম কুরানের মধ্যে। কুরান ও বার্টলেট সমান ২৫ রান করেছেন। এরপর বেন গ্রিন ২৬ ও ব্র্যাড টেলর ২২ রান করেছেন। কিন্তু তাতে দলের বড় উপকার হয়নি। লঙ্কান ব্যাটসম্যানদেরও সমস্যা হয়নি সহজ জয় তুলে নিতে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here