প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী নূরুল ইসলাম বিএসসি বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে আগামী দুই বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে আরও ৩ লাখ শ্রমিক নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে কাতার। একই সঙ্গে বাংলাদেশি শ্রমিকদের পরিশ্রমের বেশ প্রশংসা করেছেন দেশটির মন্ত্রীরা। আজ রবিবার রাজধানীর প্রবাসীকল্যাণ ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসীকল্যাণ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী নূরুল ইসলাম বিএসসি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি কাতার সফর করেছেন নূরুল ইসলাম বিএসসি। সফর বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে। তিনি বলেন, আগে কাতার সরকার জানত বাংলাদেশ ৭৫ শতাংশ মুসলিমের দেশ। কিন্তু, আমরা তাদের বলেছি, বাংলাদেশের ৯৫ ভাগই মুসলিম। তখন তারা বলেছেন, তোমরা আমাদের ভাই। তোমাদের দেশ থেকে অধিক সংখ্যক দক্ষ ও আধাদক্ষ কর্মী নিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কর্মী নেওয়ার ক্ষেত্রে নামাজির প্রশ্নটা আসল কেন? জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, তারাই আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিল তোমাদের দেশের লোক নামাজি কিনা। আমরা তাদের বলেছি, হ্যাঁ অধিকাংশ মানুষই নামাজি। জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ জিরো টলারেন্স বলেও কাতারের প্রধানমন্ত্রী এবং প্রশাসনিক উন্নয়ন, শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, বিদায়ী ২০১৫ সালে এক লাখ ২৩ হাজার ৯৬৫ জন কর্মী গেছে কাতারে। ২০২২ সালে কাতারে অনুষ্ঠিতব্য ফুটবল বিশ্বকাপকে ঘিরে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ চলছে। এ জন্য দেশটিতে নির্মাণকর্মী, সেবা খাত ও বিভিন্ন সেক্টরে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এমনও হতে পারে চলতি বছরে দুই লক্ষাধিক কর্মী যেতে পারে কাতারে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আগামী দুই বছরে তিন লক্ষাধিক কর্মী যাবে দেশটিতে। এসব কর্মী নিতে আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় উভয় দেশের যৌথ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। দক্ষ ও আধাদক্ষ কর্মী নিতেই দেশটির বেশি আগ্রহ জানিয়ে প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী বলেন, কাতারের প্রশাসনিক উন্নয়ন, শ্রম ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী আমাদের বলেছেন তারা বাংলাদেশ থেকে বিক্রয়কর্মী, নার্স, ডাক্তার, প্রকৌশলী ও অফিস কর্মচারীসহ সকল খাতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী চায়। বেতন-ভাতা এবং অভিবাসন ব্যয় কত হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা উভয় দেশের যৌথ কমিটি বসেই ঠিক করবে। দেশটিতে বর্তমানে ন্যূনতম বেতন ৭০০ রিয়াল, তা বৃদ্ধি করে ১২০০ রিয়াল করারও প্রস্তাব করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব খন্দকার ইফতেখার হায়দার, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএিইটি) মহাপরিচালক বেগম শামসুন নাহার, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্দ জুলহাস, মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আব্দুর রউফসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।