বিচারপ‌তি শামসু‌দ্দি‌নের অবস‌রের পর লেখা রায় গ্রহ‌ণে প্রধান বিচারপতিকে চি‌ঠি

0
529

হাতে লেখা রায় ও আদেশ গ্রহণে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে চিঠি দিয়েছেন আপিল বিভাগের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। আজ রবিবার সকাল ১১টার দিকে ব্যক্তিগত পিয়নের মাধ্যমে এ চিঠি পাঠান বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি। এর আগে, অবসরের পর যেসব রায় লেখার জন্য বাকি ছিল, সেগুলোতে আর স্বাক্ষর করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, আমাকে স্বাক্ষর করতে না দেওয়া হলে সেগুলো আইনের দৃষ্টিতে রায় হিসেবে গণ্য হবে না। শনিবার এক বেসরকারী টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাবেক বিচারপতি এ অভিযোগ করেন।

গত বছরের ১ অক্টোবর অবসরে যান বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। অবসরে যাওয়ার পরপরই সব সুযোগ-সুবিধা কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। রায় লেখার পর জমা দিতে গেলেও তা নেওয়া হয়নি বলে জানান শামসুদ্দিন চৌধুরী। এ জন্য দুই দফা চিঠিও দেওয়া হয়েছে। এসব অভিযোগ করে সাবেক এ বিচারপতি বলেন, যেহেতু প্রধান বিচারপতি তাকে নির্দেশ দিয়েছেন, কোনো অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রায় লিখতে পারবেন না। এবং সে কারণেই আমার লেখা রায় গ্রহণ করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। উনি বলেছেন, যেহেতু এটা প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, এটা অমান্য করা কঠিন।

অবসরের পর রায় গ্রহণ না করার বিষয়ে প্রধান বিচারপতির বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিএনপি-জামায়াত তার বক্তব্যের পর রাজনীতির মাঠে ঝড় তুলতে সক্ষম হয়েছে। আরেকটি কথা বলি, এখন কিছু না করলেও নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামায়াত তার এ মন্তব্যকে নিয়ে এগোবে। আমার কাছে তথ্য আছে, তারা নির্বাচনের আগেভাগে এটা চ্যালেঞ্জ করে একটা রিট করে এ সরকারকে বেকায়দায় ফেলবে। এ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্যই প্রধান বিচারপতি সিনহা এসব কথা বলেছেন।

আমি যে মামলাগুলোতে বিচারক ছিলাম, সেগুলোতে আমি যদি সই না করি, সেই রায়গুলো তো রায় হবে না। এখন প্রধান বিচারপতি সিনহা যদি গায়ের জোরে পাঠিয়ে দেন এবং আমার স্বাক্ষর ছাড়াই রায় হিসেবে গণ্য করার আদেশ দেন, এগুলো চ্যালেঞ্জ হবেই। তবে এসব বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here