উত্তর কোরিয়ার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। নিউ ইয়র্কে এক জরুরি বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে নিরাপত্তা পরিষদ জানায় যে রকেট উৎক্ষেপণের বিষয়ে উত্তর কোরিয়ায় নতুনভাবে অবরোধ আরোপের প্রস্তাব গ্রহণ করবে সংস্থাটি। পিয়ংইয়ং পঞ্চমবারের মতো এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করল। যদিও উত্তর কোরিয়া দাবি করছে, কক্ষপথে পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইট পাঠানোর জন্য এই রকেট নিক্ষেপ করেছে তারা, এর সাথে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কোনো সম্পর্ক নেই। উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এমন এক সময়ে এলো যখন মাসখানেক আগেই ওই দেশটি সফল পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছে। আর জানুয়ারি মাসের ওই পরমাণু বিস্ফোরণের পরীক্ষার পর থেকেই আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে রয়েছে উত্তর কোরিয়া। বলা হচ্ছে জাতিসংঘের আইন লঙ্ঘন করেছে দেশটি। দক্ষিণ কোরিয়ায় জাতিসংঘের দূত ও’জুন বলেছেন নিরাপত্তা পরিষদের এখনই উত্তর কোরিয়ার ওপর কঠোর অবরোধ আরোপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবার সময়। উত্তর কোরিয়াকে এটা বুঝিয়ে দিতে হবে যে পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়টি নিয়ে কোনো হেলাফেলা করলে চলবে না তা নিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে। আর এ জন্যই দেশটির ওপর কঠোর অবরোধ আরোপ করতে হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্রের সম্প্রসারণ মেনে নেবে না সেই স্পষ্ট বার্তাই নিরাপত্তা পরিষদ থেকে দেওয়া হবে। রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে উত্তর কোরিয়ার সোহে মহাকাশ কেন্দ্র থেকে রকেটটি ছোড়া হয়। পিয়ংইয়ং জানিয়েছে, রকেটটি ১০ মিনিটের মাথায় কোয়াংমিয়ংসং নামে একটি স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ নিয়ে মহাকাশের কক্ষপথে প্রবেশ করে। তাদের দাবি, এই রকেট নিক্ষেপ নেহাতই কক্ষপথে পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইট পাঠানোর জন্য, এর সাথে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং তাদের সামরিক মিত্র যুক্তরাষ্ট্র এই রকেট নিক্ষেপ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জাপান বলেছে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে উত্তর কোরিয়া জাতিসংঘের প্রস্তাব ভঙ্গ করেছে।