নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের বিচার শুরু ২৫ ফেব্রুয়ারি

0
505

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের দুই মামলার চার্জ গঠন করেছে আদালত। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে মামলার বিচারিক কার্যক্রম ও সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে। আজ সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে সাত খুনের দুটি মামলায় গ্রেপ্তারকৃত প্রধান আসামি নূর হোসেন ও র‌্যাবের চাকরিচ্যুত তিন কর্মকর্তা তারেক সাঈদ, আরিফ হোসেন, এম এম রানাসহ ২৩ জনকে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে সাত খুনের দুটি মামলার চার্জ গঠন করেছে আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, আদালত দুই মামলার চার্জ গঠন করেছে এবং আগামী ২৫ তারিখ থেকে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে। নারায়াণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান জানান, সোমবার সকালে কঠোর নিরাপত্তায় ২৩ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, গত ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহিম অপহৃত হন। পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সাত খুনের ঘটনায় নিহত কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল পৃথক দুটি মামলা করেন। হত্যাকাণ্ডের প্রায় এক বছর পর ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের আদালতে ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মামনুর রশিদ মণ্ডল। ইতিমধ্যে ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নূর হোসেন ছাড়া বাকিরা হলেন : সামরিক বাহিনী থেকে বরখাস্ত তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, এম এম রানা ও আরিফ হোসেন, র‌্যাব সদস্য এসআই পূর্ণেন্দু বালা, এএসআই বজলুর রহমান ও আবুল কালাম আজাদ, হাবিলদার এমদাদুল হক ও নাসির উদ্দিন, কনস্টেবল শিহাব উদ্দিন ও বাবুল হাসান, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্সনায়েক হীরা মিয়া, বেলাল হোসেন, ল্যান্স করপোরাল রুহুল আমিন, সিপাহী আবু তৈয়ব, নুরুজ্জামান ও আসাদুজ্জামান নূর এবং নূর হোসেনের সহযোগী মোর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দীপু, রহম আলী ও আবুল বাশার। পলাতক রয়েছে আরো ১২ জন। তারা হলেন : র‌্যাবের সার্জেন্ট এনামুল কবীর, এএসআই কামাল হোসেন, করপোরাল মোখলেছুর রহমান, সৈনিক আব্দুল আলিম, মহিউদ্দিন মুন্সী, আল আমিন শরীফ, তাজুল ইসলাম ও কনস্টেবল হাবিবুর রহমান পলাতক। হত্যার দায় স্বীকার করে র‌্যাবের ১৭ জনসহ ২২ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন এবং ঘটনার সাক্ষী হিসেবে র‌্যাব সদস্যসহ ১৭ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here