কল্যাণ কুমার চন্দ,বরিশাল:
নিন্মমানের নির্মান সামগ্রী দিয়ে নির্মানকৃত বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনে উদ্বোধনের আগেই ফাঁটল দেখা দিয়েছে। এনিয়ে স্থানিয় জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৮৭লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৩সালে সানুহার এলাকায় বামরাইল ইউনিয়ন পরিষদের দ্বিতল নতুন ভবন নির্মানের জন্য টেন্ডারের মাধ্যমে কার্যাদেশ পায় মের্সাস তালুকদার এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ইউপি সদস্য সেলিম হাওলাদার, সংরক্ষিত ইউপি সদস্য জাহানারা বেগমসহ স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, শুরু থেকেই ঠিকাদার অত্যন্ত নিন্মমানের নির্মান সামগ্রী দিয়ে কাজ শুরু করেন। একাধিকবার ঠিকাদারের লোকজনকে নিন্মমানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহার না করার জন্য বাঁধা দেয়া হয়েছে। সকল বাঁধা উপেক্ষা করে ঠিকাদার নিন্মমানের নির্মান সামগ্রী দিয়েই অতিসম্প্রতি নতুন ইউপি ভবনের নির্মান কাজ শেষ করেন। এ ব্যপারে বামরাইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি গৌরঙ্গ লাল কর্মকার অভিযোগ করে বলেন উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ইউনুস আলীকে একাধিকবার জানানো হলেও তিনি নি¤œ মানের নির্মান সামগ্রী দিয়ে ভবনটি নির্মান করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বাধা না দিয়ে সহযোগীতা করেছেন। চলতি মাসের মধ্যেই বরিশাল ২ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস নবনির্মিত ইউপি ভবন কমপ্লেক্সের উদ্বোধণ করবেন বলে কথা রয়েছে। এরইমধ্যে গত কয়েকদিন পূর্বে নবনির্মিত ভবনের কয়েকটি অংশে ফাঁটল দেখা দেয়। সরেজমিনে দেখা গেছে, শুধু নিন্মমানের নির্মান সামগ্রী দিয়েই ভবন নির্মান করা হয়নি। পাশাপাশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভবনের জন্য বরাদ্দকৃত আসবাবপত্রগুলোও অত্যন্ত নিন্মমানের কাঠ ও অন্যান্য উপকরন দিয়ে তৈরী করে সরবরাহ করেছে।
এ ব্যাপারে বামরাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ইউসুফ হোসেন হাওলাদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি একাধিকবার এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানো সত্বেও তিনি প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করেননি। অভিযোগের ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস তালুকদার এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধীকারি মাহবুবুর রহমান তালুকদারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিক যোগাযোগ করা হলেও তা বন্ধ থাকায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ভবনে ফাঁটল দেখা দেয়াসহ নিন্মমানের আসবাবপত্র সরবরাহের অভিযোগ অস্বীকার করে উজিরপুর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মোঃ ইউনুস আলী বলেন, সিডিউল অনুযায়ী কাজ হয়েছে,ভবন নিমার্নে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোন দূর্নিতি বা অনিয়ম করেনি।