৪০ ওভারে ভারতের রান ছিল ৩ উইকেটে ১৭৮। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে এরপর দ্রুত রান তোলার তাড়ায় ভারত উইকেট হারাতে থাকল। তবে রানও আসতে থাকল। শেষ পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে শেষ ১০ ওভারে তারা তুলেছে ৮৯ রান, হারিয়েছে ৭টি উইকেট। যেখানে প্রথম ১০ ওভারে ভারতের রান ছিল মাত্র ৩৩। উইকেট হারিয়েছিল ২টি। শেষ দিকে এই দ্রুততা আর মাঝে ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বেশ ভালো একটি সংগ্রহই দাঁড় করিয়েছে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত। ৯ উইকেটে তারা তুলেছে ২৬৭ রান। তাদের ইনিংসে ফিফটি দুটি।
শ্রীলঙ্কার দুই পেসার আসিথা ফার্নান্দো ও লাহিরু কুমারা শুরু থেকে চাপের মুখে রেখেছেন ভারতকে। টস জিতে সকালের সুবিধাটা নিতে চেয়েছে বলেই ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। প্রাথমিক ফল পেতে অবশ্য নবম ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে তাদের। কোয়ার্টার ফাইনালে সেঞ্চুরি হাঁকানো রিশাব পান্ত ১৪ রানেই আউট। ফার্নান্দোর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। অন্য ওপেনার অধিনায়ক ইশান কিশান ও (৭) পরের ওভারে কুমারার বলে উইকেটের পেছনেই ক্যাচ দিয়েছেন।
২৭ রানে ২ উইকেট তুলে নিয়ে লঙ্কানরা চেপে ধরেছিল ভারতকে। দুই ব্যাটসম্যান অমলপ্রিত সিং ও সরফরাজ খান ধীরে ধীরে এই চাপ কমিয়েছেন। বিরুদ্ধ পরিবেশে ৯৬ রানের চমৎকার জুটি গড়েছেন তারা। এই টুর্নামেন্টে নিয়মিত রান পাওয়া সরফরাজ ৫৯ রান করে ফার্নান্দোর শিকার হয়েছেন। পরে আবার আঘাত হানেন লঙ্কানদের ইনিংসের সেরা বোলার ফার্নান্দো।
তার আগে অমলপ্রিতের সাথে চতুর্থ উইকেটে ৭০ রানের জুটি হয়েছে ওয়াশিংটন সুন্দরের। স্ট্রাইক রোটেট করে বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তোলার চেষ্টা করেছে এই জুটি। প্রায় ৬ গড়ে রান তুলেছেন তারা। ৪০ ওভার পেরুনোর পর বিচ্ছিন্ন হয়েছেন। অমলপ্রিত ৭২ রান করেছেন। সুন্দরের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৩ রান।
আরমান জাফর ১৬ বলে ২৯ রানের একটি ঝড়ো ইনিংস খেলে গেছেন। শেষ দিকের রানে অবদান আছে মায়াঙ্ক ডাগারের ১৭ ও মহিপাল লমরোরের ১১ রানেরও। শেষ স্পেলে জাফরেরটিসহ ২ উইকেট নিয়েছেন ফার্নান্দো। ডান হাতি এই পেসার ১০ ওভারে ৪৩ রানে শিকার করেছেন ৪ উইকেট। বাঁ হাতি পেসার কুমারা পেয়েছেন ২ উইকেট। ২টি উইকেট বাঁ হাতি স্পিনার থিলান নিমেশেরও।