দুই বছর পার হয়ে গেছে। ইংল্যান্ড দলে আর জায়গা হয়নি কেভিন পিটারসেন। বয়স এখন ৩৫। ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শেষের টানে এগিয়ে যাচ্ছেন। যদিও ফর্ম ভালো বলে বিশ্বের নানা প্রান্তের টি-টোয়েন্টি আসরে মাতিয়ে চলছেন। কিন্তু তার তো ইংল্যান্ড দলে ফেরার আর তেমন কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। তাহলে কি দেশ বদলে জন্মভূমি দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলার কথা বিবেচনা করবেন পিটারসেন? ইংল্যান্ডের সাবেক ফাস্ট বোলার ড্যারেন গফ এমন সম্ভাবনার কথাই পিটারসেনের সামনে তুলে ধরতে চাইছেন।
দলের মধ্যে একটা ঝামেলা তৈরি করে ফেলেছিলেন পিটারসেন। তার শাস্তি পাচ্ছেন। ইংল্যান্ড দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সহসাই তাকে ফেরানোর সম্ভাবনা নেই। এখন টেস্ট ক্যারিয়ার আবার শুরু করতে একটাই সুযোগ আছে পিটারসেনের সামনে। অন্য কোনো টেস্ট খেলা দেশের হয়ে খেলা। দক্ষিণ আফ্রিকা তার জন্মভূমি। সেটাই হতে পারে অপশন। কিন্তু আইসিসির নিয়মে একটি দেশের প্রতিনিধিত্ব করা খেলোয়াড়কে অন্য দেশ বেছে নিতে চার বছরের বিরতি লাগে। তার মানে প্রোটিয়াদের হয়ে খেলতে চাইলেও পিটারসেনকে ২০১৮ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তার বয়স তখন হবে ৩৭।
ইংলিশ একটি সংবাদমাধ্যমে পিটারসেনের সাবেক টিম মেট গফ বলেছেন, এই খেলোয়াড় জন্মভূমির হয়ে খেলার কথা ভাবতে পারেন। গফের কথায়, “গত কয়েক বছর ধরে যা সামলাতে হচ্ছে তাকে, যেভাবে তাকে দেখা হচ্ছে তাতে সে এই ভাবনাটা ভাবতে পারে। এই বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় সে খেলেছে। ভালো করেছে। ওখানে সবাই ভালোবাসে তাকে। কেউ কেউ ভাবে গ্রায়েম স্মিথ তাকে ঘৃণা করে (তারা ভুল)। তারা ভালো বন্ধুর মতোই। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে তার ভালো প্রভাব। তাকে খেলার জন্য বললে আমি অবাক হবো না।”