প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চলতি বছর থেকে প্রতি বছর সর্বোচ্চ রেমিটেন্স প্রেরণকারী ৫০ প্রবাসী কর্মীকে সিআইপি (কমার্সিয়াল ইম্পর্টেন্ট পারসন-সিআইপি) মর্যাদা দিয়ে সম্মানিত করা হবে।
তিনি গতকাল সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্যে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য সেলিনা বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সালে ১০জনকে এ মর্যাদা দেয়া হয়েছে। তবে ২০১৬ সাল অর্থাৎ চলতি বছর থেকে ১০ জনের স্থলে ৫০জনকে সিআইপি মর্যাদা দেয়া হবে। সিআইপি মর্যাদাপ্রাপ্তরা তাদের কার্ড ব্যবহার করে সচিবালয়ে প্রবেশ, ব্যবসায়িক ভ্রমণে প্লেন, রেল ও নৌপথে আসন সংরক্ষণের সুযোগ পান। এছাড়া বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চাইলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সমান সুযোগ দেয়া হয়।’
তিনি বলেন, দেশে-বিদেশে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বৈঠক করতে পারেন। বিভিন্ন জাতীয় জাতীয় দিবসেও বাংলাদেশ মিশনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ লাভ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৬ সাল থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ৯৭ লাখ ৬২ হাজার ৬৮৫জন বাংলাদেশী কর্মী বিদেশ গিয়েছেন। একই সময়ে সৌদি আরব গিয়েছেন ২৭ লাখ ৬ হাজর ৭০৫ জন। এ ছাড়া বর্তমান সরকারের ২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে বিএমইটি-র ছাড়পত্র নিয়ে ৩৪ লাখ ৩২ হাজার ৬৫৮ জন কর্মী বিদেশ গেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৫ সালে প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের পাঠানো রেমিটেন্সের পরিমাণ ছিল ১৫ দশমিক ৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশি কর্মীদের বিভিন্ন ধরনের সেবা দেয়ার জন্যে বিভিন্ন দেশে অবস্থিত শ্রম উইেংর সংখ্যা ১৬ থেকে ২৮-এ উন্নীত করা হয়েছে। এছাড়া যেসব দেশে ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি কর্মী রয়েছেন, সেসব দেশের বাংলাদেশ দূতাবাসে পর্যায়ক্রমে শ্রম উইং চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।