শ্রমিক পাঠাতে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

0
389

দীর্ঘদিন পর মালয়েশিয়ায় বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি শ্রমিক পাঠানোর পথ খুলেছে। বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি ও মালয়েশিয়ার পক্ষে জনশক্তি বিষয়কমন্ত্রী রিচার্ড রায়ট আনাক জায়েন এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। চুক্তি অনুযায়ী, আগামী তিন বছরে বাংলাদেশ থেকে ১৫ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হবে মালয়েশিয়ায়। এর আগে শুধু বনায়ন খাতে শ্রমিক নিত মালয়েশিয়া। এই চুক্তির ফলে এখন সেবা, নির্মাণ, কৃষি ও উৎপাদন খাতে শ্রমিক নেয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এখন থেকে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক যেতে খরচও কম হবে।

প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি জানান, মালয়েশিয়ায় যেতে প্রত্যেক শ্রমিকের ৩৪-৩৭ হাজার টাকা খরচ হবে। নিয়োগকর্তারা অধিকাংশ অভিবাসন ব্যয় বহন করবেন। তিনি আরো বলেন, এই চুক্তি অনুযায়ী সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো শ্রমিক পাঠাতে পারবে। মালয়েশিয়ায়র জনশক্তি বিষয়কমন্ত্রী রিচার্ড রিয়াদ আনাক জায়েন চুক্তি স্বাক্ষরের পর সাংবাদিকদের জানান, শ্রমিকের বেতন  শহর ভেদে ৮০০-৯০০ রিঙ্গিত (মালয়েশিয়ার মুদ্রা) হবে।

বাংলাদেশ সরকার জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তালিকা অনুযায়ী কর্মী বাছাই করবে। বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোও এ নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবে। সেক্ষেত্রে বাছাই করা তালিকা বিএমইটি দেবে বায়রাকে। বায়রা এ ডাটাবেজ থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ভিসা প্রসেসিং, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও বহির্গমন সেবা দেবে। ভিসা প্রসেসিংসহ কর্মীর ডাটাবেজ এবং অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালিত হবে অনলাইনে। কর্মীদের বেতন পরিশোধ করা হবে ব্যাংকের মাধ্যমে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here