শেষটা রাঙিয়ে দিয়েই বিদায় ম্যাককালামের !

0
380

এর চেয়ে ভালোভাবে শেষটা রাঙিয়ে দেওয়া বোধ হয় সম্ভব ছিল না! যখন ক্রিজে নেমেছিলেন, ৩২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড ধুঁকছে। সেখান থেকে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম শুরু করলেন প্রতি আক্রমণ। মাত্র ৫৪ বলেই করে ফেললেন সেঞ্চুরি! টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটা এতদিন যৌথভাবে ছিল ভিভ রিচার্ডস ও মিসবাহ-উল-হকের, দুজনেই সেঞ্চুরি করেছিলেন ৫৬ বলে। এখন থেকে সেটি শুধুই ম্যাককালামের!

শততম টেস্টে কিউই অধিনায়ক আউট হয়ে গিয়েছিলেন শূন্য ও ১০ রানে। বিদায়ী টেস্টে সেই অপূর্ণতা ঢেকে দেওয়ারই কি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন? শুরু থেকেই খড়গহস্ত অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের ওপর, মুখোমুখি দ্বিতীয় বলেই চার মারলেন। তোপটা বেশি গেছে মিচেল মার্শের ওপর, অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডারের এক ওভারেই নিয়েছেন ২১ রান! জ্যাকসন বার্ডকে ছয় মেরে এসেছে ফিফটি, তখন বল খেলেছেন মাত্র ৩৪টি।

এর পরে ম্যাককালাম যেন আরও খুনে। সেঞ্চুরির কাছাকাছি এসেও কোনো স্নায়ুচাপের চিহ্ন-টিহ্নও ছিল না। বরং ৮২ রান থেকে জশ হ্যাজলউডের এক ওভারে ১৮ রান নিয়ে ওই ওভারেই পূরণ করে ফেলেন সেঞ্চুরি। হ্যাগলি ওভাল তখন দাঁড়িয়ে পড়েছে বিদায়ী নায়ককে কুর্নিশ জানাতে। শেষ পর্যন্ত ৭৯ বলে ১২৪ মিনিটে ১৪৫ রান করে আউট হয়েছেন ম্যাককালাম, নামের পাশে তখন ২১টি চার ও ৬ টি ছয়। টেস্ট ক্রিকেটে দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ডটা আগেই ছিল নিউজিল্যান্ডের, এবার হলো দ্রুততম সেঞ্চুরিও।

ম্যাককালাম চলে যাওয়ার পর আবার নিজেদের ফিরে পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা। ম্যাককালাম আউট হওয়ার সময় নিউজিল্যান্ড মাত্র ৪৫ ওভারেই করে ফেলেছিল ২৫৩ রান!

আর ১১৭ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলেছে বাকি ৫ উইকেট, শেষ পর্যন্ত মাত্র ৬৫.৪ ওভারেই অলআউট হয়েছে ৩৭০ রানে। ম্যাককালাম থেকে প্রেরণা নিয়েই বোধ হয় আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন কোরি অ্যান্ডারসন ও বিজে ওয়াটলিংও। ৬৬ বলে অ্যান্ডারসন করেছেন ৭২, ওয়াটলিং ৫৭ বলে ৫৮। অস্ট্রেলিয়ার নাথান লায়ন পেয়েছেন ৩ উইকেট। হ্যাজলউড, প্যাটিনসন ও বার্ড পেয়েছেন ২ টি করে উইকেট।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here