সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের বাইরে একটি শিয়া মাজারের কাছে এবং হোমস নগরীতে পৃথক আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে প্রাণহানির সংখ্যা ১৫০ জন ছাড়িয়েছে। জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) হামলার দায় স্বীকার করেছে। এদিকে অস্ত্রবিরতি নিশ্চিত করতে ওয়াশিংটন ও মস্কো কাজ করছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেন, সিরিয়ায় পাঁচ বছরের সংঘাত বন্ধে অস্ত্রবিরতি প্রশ্নে অস্থায়ী একটি চুক্তি হয়েছে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, দামেস্কের কাছে সাইদা জয়নবের মাজার এলাকায় একটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের পর আরো দুটি পৃথক আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়। এতে ৯৬ জন নিহত হয়।
এক পুলিশ সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে সিরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা সানার খবরে বলা হয়, আহতদের মধ্যে শিশুসহ ১৭৮ জন রয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি’র এক সংবাদদাতা জানান, মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স.) নাতনির মাজারের ৪শ’ মিটারের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। একই এলাকায় গত জানুয়ারিতে হামলায় ৭০ জন নিহত হয়। ওই হামলারও দায় স্বীকার করে আইএস।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস আরো জানায়, মধ্যাঞ্চলের হোমস নগরীর আল-জাহরা জেলায় দুটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৫৯ জন নিহত ও অনেকে আহত হয়েছে।
আইএস অনলাইনে জানায়, সাইদা জয়নবে দুই আত্মঘাতী হামলা এবং হোমসে জনবহুল এলাকায় বিস্ফোরক ভর্তি দুটি গাড়ি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।
জাতিসংঘের সিরিয়া বিষয়ক দূত স্ট্যাফান দি মিসতুরা হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলো শুক্রবার থেকে কার্যকর হতে যাওয়া অস্ত্রবিরতির বাস্তবায়ন দেখতে চায়। তবে অস্ত্রবিরতির শর্তের ব্যাপারে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় তাদেরকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
রোববার কেরি অস্ত্রবিরতি প্রশ্নে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে কমপক্ষে তিনবার কথা বলেছেন।
আম্মানে প্রথম দফা আলোচনার পর কেরি বলেন, ‘সিরিয়ায় বৈরিতা অবসানে আমরা অস্থায়ী একটি চুক্তিতে পৌঁছেছি।’
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরে জানায়, লাভরভ ও কেরি আরো দুইবার টেলিফোনে আলাপ এবং অস্ত্রবিরতির শর্ত চূড়ান্ত করেছেন। শর্তগুলো পরে সংশ্লিষ্ট প্রেসিডেন্টগণের সামনে তুলে ধরা হবে।