আধুনিক জীবনের চাহিদা মেটাতে পারে স্মার্ট সিটি : খন্দকার মোশাররফ হোসেন

0
353

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আধুনিক জীবনের চাহিদা মেটাতে পারে স্মার্ট সিটি।
তিনি বলেন, স্মার্ট সিটির সুনির্দিষ্ট কোন সংজ্ঞা নেই। তবে যে সিটি আধুনিক জীবনের সকল চাহিদা পুরণ করতে পারে এবং নগরীর অধিবাসীরা যেখানে বাস করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে সেটিই স্মার্ট সিটি।
মোশাররফ গতকাল সোমবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘স্মার্ট সিটি বাই সুইডেন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
ঢাকায় নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত জোহান ফ্রাইসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পাবলিক-প্রাইভেট অথরিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আফসার এইচ উদ্দিন, বিটিআরসি’র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এমদাদুল বারী।
সেমিনারে ঢাকায় ব্যবসারত সুইডেনের বিভিন্ন কোম্পানির কর্মকর্তারা ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
স্মার্ট সিটির বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, নগরবাসীর চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পানি-বিদ্যুৎ সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পাবলিক পরিবহন, গরিবদের নাগালের মধ্যে আবাসন ব্যবস্থা, নাগরিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য-শিক্ষা, টেকসই পরিবেশ ও তথ্য-প্রযুক্তির ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি করা খুবই জরুরি।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়নের ১১ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যেও স্মার্ট সিটির ওপর যথাযথ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এ লক্ষ্য পুরণে কাজ করছে বাংলাদেশ।
এ যাত্রায় সুইডেন বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন আর নিম্ন আয়ের দেশে নেই। তাঁর ঘোষিত ‘ভিশন ২০২১’ এর আলোকে নিম্ন মধ্যম আয়ের বলয় ভেঙ্গে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে চলেছে বাংলাদেশ।
সেমিনারে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ ছোট হলেও এর বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠী রয়েছে। তারা বিভিন্ন কাজে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে।
দেশের মানুষ সুইডিশ পণ্যের গুনগত মান ও প্রযুক্তি সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন বলে জানান মন্ত্রী।
সেমিনারে সুইডেন ও বাংলাদেশের বেসরকারি সংস্থা- বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ, পরিবহন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও আইটিসহ বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here