কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে বাংলাদেশীদের লক্ষ্য বিএসএফ গুলি বর্ষন করেছে। এতে ২ জন বাংলাদেশী গরু পাচারকারী নিখোঁজ রয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের সরকারপাড়া সীমান্তে গুলি বর্ষনের এ ঘটনা ঘটেছে।
নিখোঁজ পরিবারদের দাবি বিএসএফ’র গুলিতে তারা নিহত হলে বিএসএফ তাদের লাশ গুম করে থাকতে পারে। তবে বাংলাদেশীদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষন ও হত্যার ঘটনা বিএসএফ অস্বীকার করেছে। স্থানীয় ও বিজিবি সূত্র জানায়, সীমান্ত সংলগ্ন মোহাম্মদপুর ও ডাংয়েরপাড়া গ্রামের শিপন, মামুন ও আলিমসহ ১০-১২ জন গরু পাচারকারী চল্লিশপাড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে গরু পাচার করার সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী থানার ৪৩ বিএসএফ কমান্ডেন্ট অধিনস্থ সরকারপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের টহল দল তাদের লক্ষ্য করে পর পর ৮-১০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। গুলিতে মামুন (৩০) ও আলিম (৪৫) কোমর ও পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে বাঁকীরা পালিয়ে প্রানে বাঁচে। বিএসএফ’র গুলি বর্ষনের বিষয়টি স্থানীয় বিজিকে জানানো হলে তারা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফকে পত্র দেয়। পত্র পেয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ১৫৭/৩(এস) সীমান্ত পিলারের সন্নিকটে নোম্যান্স ল্যান্ডে বিজিবি-বিএসএফ’র মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়। পতাকা বৈফকে বিজিবি’র পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনস্থ চিলমারী বিজিবি কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার আশরাফ এবং বিএসএফ’র পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৪৩ বিএসএফ কমান্ডেন্ট অধিনস্থ জলঙ্গী বিএসএফ কোম্পনী কমান্ডার ইন্সপেক্টর দেবাশীষ। প্রায় ৩০ মিনিটি ধরে চলা পতাকা বৈঠকে দু’জন বাংলাদেশী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিখোঁজ হওয়ার বিষয় বিএসএফকে জানানো হলে বিএসএফ গুলি বর্ষন ও তাদের হেফাজতে গুলিবিদ্ধ দু’জন থাকার কথা অস্বীকার করেন। তবে নিখোঁজদের খুঁজে পেলে বিজিবিকে জানানো হবে বলে বিএসএফ’র পক্ষ থেকে জানানো হয়। পতাকা বৈঠকে অংশ নেওয়া চিলমারী বিজিবি কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার আশরাফ জানান, বিএসএফ ভারত ভূ-খন্ডে চোরাকারবারীদের লক্ষ করে গুলি বর্ষন করেছে। এতে কেউ হতাহত হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি। তবে নিঁেখাজ মামুনের ভাই শিপন (২৮) জানিয়েছে, বিএসএফ এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষন করলে তার ভাই মামুন ও প্রতিবেশী আলিম গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখেছি। বর্তমানে সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলেও উভয় সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ টহল বাড়ানো হয়েছে।