বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশন যমজ ভাইয়ের মতো আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে আরেকটি দখলবাজি মহড়ার উত্কৃষ্ট মডেল বানাতে চায়। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন। রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জনগণ জানে, আসন্ন ইউপি নির্বাচনের পরিণতি কী হবে। সুতরাং যতক্ষণ পর্যন্ত না এই জবরদখলকারী সরকারের পতন ঘটবে, ততদিন পর্যন্ত মানুষ তার অধিকার ফিরে পাবে না, বহুদলীয় গণতন্ত্রে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের অধিকার নিশ্চিত হবে না। এই সরকারের অধীনে নির্বাচন মানেই দখলবাজি আর কেড়ে নেওয়ার মহোত্সব। তিনি বলেন, বর্তমান ইউপি নির্বাচনেও মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় থেকেই শুরু হয়েছে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর নির্বাচনবিনাশী চরিত্রের বীভত্স আত্মপ্রকাশ। আর নির্বাচনের জন্য বিরোধী দলের প্রার্থীরা নির্বাচনী কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয় এবং তাদের মনোনয়নপত্র ছিঁড়ে ফেলা হয়। এসময় তিসি বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিল করতে না দেয়া, জোর করে মনোনয়নপত্র কেড়ে নেয়া, প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী রাজনৈতিক বহুমাত্রিকতার বহুত্ববাদে কখনোই বিশ্বাস করেনি। এরা সমালোচনা এবং বিতর্ককে কখনোই গ্রহণ করতে পারে না। তবে তারা নিজেরা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বিষাক্ত ও আক্রমণাত্মক কুটতর্কে পারঙ্গম। এদের কোন মানবিক মুখমন্ডল নেই। এরা কখনোই গণতান্ত্রিক সৌজন্যের তোয়াক্কা করে না। এদের দূরভিসন্ধিমূলক অশুভ পরিকল্পনার অভিমূখ ছিল গণতন্ত্রের দিকে। সেই কর্তব্য কর্মটি তারা আন্তরিকতা ও নিষ্ঠা দিয়ে পালন করেছে গণতন্ত্রকে দাফন করে।