বিচারবিভাগ ও প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বক্তব্য মিডিয়ায় প্রচার না করার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় এসেছে। আজ মঙ্গলবার বিচারপতির ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণাদেবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় রাখা হয়েছে। আইটেম নাম্বার ১৩১, সেখানে লেখা আছে এসএম জুলফিকার বনান রাষ্ট্র। গতকাল সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদনটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জুলফিকার আলী। সুপ্রিম কোর্ট নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বক্তব্য প্রচার না করতে সংশ্লিষ্টদের কাছে উকিল নোটিশ দেন আইনজীবী জুলফিকার আলী। নোটিশের জবাব না পেয়ে সোমবার তিনি এ রিট আবেদনটি করেন। রিট দায়েরের পর জুলফিকার আলী জানান, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মানিক কিছুদিন ধরে বিচার বিভাগ, উচ্চ আদালত ও প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে বিভিন্ন মন্তব্য করছেন। এসব বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত হচ্ছে। তিনি বলেন, এসব বক্তব্য আদালতের জন্য মানহানি ও অবমাননাকর। তিনি আরো বলেন, সংবিধানে (৩৯ অনুচ্ছেদ) একজন নাগরিক হিসেবে বিচারপতি মানিকের বক্তব্য দেয়ার স্বাধীনতা আছে। কিন্তু সেখানে কিছু বিধি-নিষেধ আছে। বিচারপতি মানিক সেটা মানছেন না। জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪ অনুসারেও বিচারপতি মানিকের সংবাদও গণমাধ্যমে প্রকাশে কিছু বিধি-নিষেধ রয়েছে। এ কারণে পত্রিকায় প্রকাশিত কয়েকটি প্রতিবেদন যুক্ত করে রিটটি দায়ের করা হয়। রিট আবেদনে তথ্য সচিব, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি অথরিটির (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।