পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসদের অপকর্মের কথা ঘৃণাভরে স্মরণ করার জন্য সরকার ঘৃণাস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেবে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক গতকাল সংসদে সরকারি দলের সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আরও বলেন, পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর এ দেশীয় দালালদের অপকর্মের জন্য বছরে অন্তত একটি দিন যাতে নির্দিষ্ট স্থানে সমবেত হয়ে তাদের প্রতি ঘৃণা জানাতে পারে, এ জন্য একটি ঘৃণাস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার যা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করেছে, ওই স্থানটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হবে।
সরকারি দলের সদস্য ড. শামসুল হক ভুঁইয়ার অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ১৯৬৯ সালে পাকিস্তান সরকারের দায়ের করা মামলা ‘রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিব’ যা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা হিসেবে পরিচিত, ওই মামলায় অভিযুক্তদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানিত করা হবে।
সরকারি দলের সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সঠিকভাবে সংরক্ষণের জন্য পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথা সন্নিবেশ করার পাশাপাশি রাজাকারদের অপকর্মের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া যেসব মুক্তিযোদ্ধা ইতোমধ্যে ইন্তেকাল করেছেন এবং ভবিষ্যতে যারা ইন্তেকাল করবেন তাদের কবর একই ডিজাইনে সংরক্ষণ করা হবে, যাতে আগামী ১শ’ বছর পরেও কেউ এসব কবর দেখে বলতে পারে এটা মুক্তিযোদ্ধার কবর।
মন্ত্রী বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সম্মুখ সমরের স্থান ও যেসব এলাকায় বর্বর হানাদার বাহিনী গণহত্যা চালিয়েছে, ওইসব এলাকার গণকবরগুলো একই ডিজাইনে সংরক্ষণের জন্য ইতোমধ্যে একটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে।
তিনি বলেন, যৌথবাহিনীর যেসব সদস্য মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতার জন্য এসে শহীদ হয়েছেন তাদের কথা স্মরণে রাখতে আশুগঞ্জে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।