টেকসই উন্নয়নে পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশ অপরিহার্য : কর্মশালায় বক্তারা

0
386

বাংলাদেশ সচিবালয়ে এক কর্মশালায় বক্তারা বলেছেন, পর্যটন এখন শুধুমাত্র দেশ ভ্রমণের মাঝে সীমাবদ্ধ নেই। পরিবর্তিত সময়ের চাহিদানুসারে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে পর্যটন এক ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে।
তারা বলেন, এখন হেলথ ট্যুরিজম, কালচারাল ট্যুরিজম, আর্কিওলজিক্যাল ট্যুরিজম ও এডভেঞ্চার ট্যুরিজম পর্যটনকে বহুমাত্রিক ব্যঞ্জনা দিয়েছে। তাই টেকসই উন্নয়নে পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশ অপরিহার্য।
বক্তারা বুধবার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক কর্মশালায় বক্তৃতাকালে এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা (এসডিজি) বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়ের কর্মকৌশল প্রণয়নের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা বিভাগ এ কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় জানানো হয়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ জাতিসংঘের ৭০তম অধিবেশনে ১৯৩টি দেশ সহস্রাব্দের উন্নয়ন এজেন্ডা হিসেবে ১৭টি অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য ১৬৯টি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে।
৮,১২ ও ১৪ নং লক্ষ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতকল্পে পর্যটনের উন্নয়ন ও বিকাশের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, পর্যটন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের মধ্যে চিন্তা ও ভাবের ঐক্য স্থাপনের মাধ্যমে শান্তি ও সম্প্র্রীতি করতে পারে যা টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত। পর্যটন স্থানীয় সংস্কৃতি, পণ্যকে পরিচিত ও জনপ্রিয় করার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে।
এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রফিকুজ্জামান। পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইননোভেশন ইউনিট’র (জিআইইউ) উপপরিচালক মো. সোলায়মান ও পরিকল্পনা কমিশনের সাধারন অর্থনৈতিক বিভাগের সহকারী প্রধান সৈয়দ আলী বিন হাসান।
মুক্ত আলোচনায় মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লি. বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড ও বাংলাদেশ সার্ভিস লি. এর কর্মকর্তাগণ অংশ নেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here