বিডিআর বিদ্রোহের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি বিএনপির

0
449

বিডিয়ার বিদ্রোহের প্রকৃত রহস্য এখনও উম্মেচিত হয়নি দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেছেন, বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে দোষীদের বিচার করতে হবে। আজ রাজধানীর বনানী সামরিক কবরস্থানে বিডিয়ার বিদ্রোহের শহীদদের কবরে শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি এসব কথা বলেন। মাহবুবুর রহমান বলেন, ৭ বছর আগে এই দিনে বিডিয়ার বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনাবাহিনীর চৌকস কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা তাদের রুহের মাগফেরাত কামনার জন্য এসেছি। সেনা কর্মকর্তা হত্যায় সেনাবাহিনী ও দেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে বিচার হচ্ছে। আবার বিচারের নামে প্রহসন চলছে। প্রকৃত হত্যাকারী ও ষড়যন্ত্রকারীরা রহস্যময় থেকে গেছে। তদন্তে কি ছিল পরিবার বা আমরা কেউ জানি না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসী জানতে চায় কারা এর সঙ্গে জড়িত ছিল। যারা জড়িত ছিল তাদের শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে। যে সব গডফাদারেরা এখনও লুকিয়ে আছে তাদের বিচার করতে হবে। ২৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা এবং বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করছি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ বলেছেন, বিডিয়ার বিদ্রোহে যারা জড়িত ছিল তাদের নাম বলার অপেক্ষা রাখে না। তারা সে দিন প্রধানমন্ত্রীর দাওয়াত খেয়েছেন। তারপরও কি বলতে হয় কারা জড়িত ছিল? বিডিয়ার বিদ্রোহের কয়েক দিনের মধ্যে একজনকে পদোন্নতি দিয়ে হত্যায় জড়িতদের উৎসাহিত করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য নায়কদের বের করতে সেনাবাহিনীকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। বরং লে. জেনারেল জাহাঙ্গির আলমের (অব.) নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি অংশকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল কিন্তু সে তদন্ত রিপোর্টও প্রকাশ করা হয়নি। তাই জনসমক্ষে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করার দাবি জানাচ্ছি। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেন, এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। এই হত্যার মূল রহস্য এখনও উৎঘাটিত হয়নি। সেনাবাহিনীর মাধ্যমে তদন্ত করে জড়িতদের নাম জাতীয় পত্রিকায় দেওয়ার দাবি করছি।

এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রুহুল আলম চৌধুরী, মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, সহদপ্তর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, নির্বাহী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হানিফ, মেজর (অব.) মিজানুর রহমান, মেজর (অব.) সরোয়ার হোসেন, লে. কর্নেল (অব.) মনিরুজ্জামান, লে. কর্নেল (অব.) মনিষ দেওয়ান, চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here