বরিশাল প্রতিনিধি ॥ বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের ওপর দিয়ে বুধবার সকালে ও বৃহস্পতিবার ভোরে মৌসুমের প্রথম ঝড়োহাওয়ায় বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটেছে। এছাড়া ঝড়োহাওয়ায় জেলায় কাঁচা ও আধাপাকা অনেক ঘরের টিনের চালা উড়ে গেছে। বুধবার নদী বন্দরে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় ছোট লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হলেও বৃহস্পতিবার দুপুরে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক মোঃ ইউসুফ হোসেন জানান, বুধবার ভোর ছয়টার দিকে মৌসুমের প্রথম ঝড়োহাওয়া শুরু হয়। যা থেমে থেকে চলে দিনভর। বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা ১০ মিনিটে বাতাসের গতিবেগ সর্বোচ্চ ৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠেছিল। তবে বাতাসের এ গতিবেগ স্থায়ী ছিল মাত্র ২ মিনিট। বুধবার ঝড়ো বাতাসের পর দিনভর মেঘলা গুমোট আবহাওয়ার পর বৃহস্পতিবার ভোরে ঘন্টাব্যাপী মুষল ধারে বৃষ্টিপাত হয়। আবহাওয়া অফিস ৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে। দুপুরের দিকে আবহাওয়া পরিবর্তন হয়ে যায়।
এদিকে আকস্মিক ঝড়োহাওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। নগর ও বিভিন্ন এলাকায় আধাপাকা ঘরের টিন ঝড়ো বাতাসে উড়িযে নিয়েছে। বরিশাল বিদ্যুৎ বিভাগের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, বরিশাল ও ঝালকাঠী জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ২২টি ফিডার ঝড়োহাওয়ার সময় বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঝড়োহাওয়ায় গাছ ও ডালপালা পড়ে সবগুলো ফিডারের লাইন কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সংস্কার করে দুপুর ২টার পর থেকে ফিডারগুলো পর্যায়ক্রমে চালু করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত সব এলাকায় বিদ্যুত পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। দীর্ঘ সময় বিদুৎ বন্ধ থাকায় বরিশাল ও ঝালকাঠী জেলার মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাত্রায় ছন্দপতন ঘটে।