বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, প্রয়োজনীয় সংখ্যক বৈমানিক গড়ে তুলে নিজেদের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশেও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। তিনি গতকাল শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ ফ্লাইং একাডেমি আয়োজিত কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স সার্টিফিকেট বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গার কমপ্লেক্সে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। একাডেমির সভাপতি গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব) শামসুল আলমের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। সম্মানিত অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম সানাউল হক। রাশেদ খান মেনন বলেন, দেশের ফ্লাইং ক্লাবগুলো বৈমানিক গড়ে তোলার কাজে অসামান্য ভ’মিকা রাখছে। সরকার এব্যাপারে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করবে। সংগঠনের সাবেক সভাপতি ও পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, একজন শিক্ষার্থীর কমার্শিয়াল পাইলট হতে হলে ৩৬ লাখ টাকা প্রয়োজন। এই টাকার অর্ধেকও যদি ব্যাংক ঋণ পাওয়া যেত, তাহলে শিক্ষার্থীদের আর্থিক কষ্ট কাটতো। চাকুরিতে যোগ দেওয়ার পর এই ঋণ শোধ করা কোন ব্যাপারই না। কেননা পাইলটরা উচ্চ বেতনে চাকুরি পান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিমান ও দেশের বেসরকারি মালিকানাধীন বিমান ফ্লিটে ভবিষ্যতে নতুন নতুন বিমান যোগ হবে। বৈমানিকদের অনেক চাহিদা থাকবে। আমরা সঙ্কটে বিদেশী বৈমানিকদের নিয়োগ দিয়ে থাকি। তখন এ খাতে প্রচুর টাকা চলে যায়। দেশের চাহিদা মিটিয়েও বৈমানিকদের বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে এই সেক্টরে। তিনি এদিকে মনোযোগী হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানান। ফ্লাইং একাডেমির সভাপতি শামসুল আলম বলেন,১৯৪৮ সালে এই প্রতিষ্ঠানের জন্ম। এখন আরো মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা এই পেশায় আসছে। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শীঘ্রই একটি সেসনা-১৭২ বিমান কেনা হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন বর্তমানে দেশে তাদের প্রতিষ্ঠান ছাড়াও আরো তিনটি ফ্লাইং ক্লাব রয়েছে।এপর্যন্ত এ একাডেমি থেকে ৭২৫ জন পাইলট বের হয়েছেন। তারা বাংলাদেশ বিমান, চারটি বেসরকারী বিমান ও বিদেশী এয়ারলাইন্সে কাজ নিয়োজিত। অনুষ্ঠানে বেসাসরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ার ম্যান এম সানাউল হকও বক্তৃতা করেন। পরে প্রশিক্ণ গ্রহণকারী ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।