কুমিল্লায় সহোদর দুই শিশুকে হত্যার ঘটনায় সৎ ও তার ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। শনিবার রাতে শিশুদের বাবা আবুল কালাম বাদী হয়ে এই মামলা করেন। মামলায় তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী রোকেয়া বেগম ও ছেলে ছোটনকে আসামি করা হয়েছে। রবিবার সকালে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতদের বাবা আবুল কালাম ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে আবুল কালামের প্রথম স্ত্রী রোকেয়া বেগমের ছেলে ঢাকার ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির বিবিএ শেষ বর্ষের ছাত্র মো. আল শফিউল ইসলাম ছোটন শনিবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে তার সৎ ভাই স্থানীয় হলিচাইল্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ১ম শ্রেণির ছাত্র মেহেদী হাসান জয় (৭) ও একই স্কুলের নার্সারি শ্রেণির ছাত্র মেজবাউল হক মনিকে (৫) গলায় রশি পেঁচিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ খাটের উপর রেখে ঘরের দরজা তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়। এসময় ব্যবসায়ী আবুল কালাম তার শাশুড়ির চেহলাম উপলক্ষে দ্বিতীয় স্ত্রী রেখা বেগমকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ভাল্লক গ্রামে ছিলেন।
আবুল কালাম জানান, তার প্রথম স্ত্রীর ছোট মেয়ে তানজিনা মোবাইল ফোনে জয় ও মনির মৃত্যুর খবর জানালে তিনি বিকালে বাড়ি ছুটে আসেন। জানা গেছে, ব্যবসায়ী আবুল কালামের প্রথম স্ত্রী রোকেয়া বেগমের ৩ কন্যা ও এক পুত্র সন্তান রয়েছে। এদের মধ্যে আইরিন আক্তার ও তাহমিনা আক্তারের বিয়ে হয়েছে, ছেলে মো. আল শফিউল ইসলাম ছোটন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়া করছে এবং ছোট মেয়ে সুফিয়া আক্তার তানজিনা স্থানীয় নেউরা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী। দ্বিতীয় স্ত্রী রেখা বেগমের ২ সন্তান ছিল।
স্থানীয়দের ধারণা, পারিবারিক কলহ কিংবা বাড়ির মূল্যবান সম্পত্তির লোভে এ নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। স্থানীয়রা আরো জানান, ব্যবসায়ী আবুল কালাম তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও নিহত ২ শিশু ছেলের নামে সম্প্রতি ১৭ লাখ টাকায় জমি ক্রয় করেন। এতে প্রথম স্ত্রীর ছেলে মো. আল শফিউল ইসলাম ছোটন ক্ষিপ্ত হয়ে এই ঘটনা ঘটাতে পারে বলে তাদের ধারণা।