বরিশাল প্রতিনিধি ॥ রাজধানীর উত্তরায় গ্যাসলাইন বিস্ফোরণের ঘটনায় একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় নিহত দুই শিশুর লাশ নানা বাড়ি বরিশালে দাফন করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে নয়টার দিকে নগরীর নবগ্রাম সড়কের মার্কাস মসজিদ প্রাঙ্গণে দু’সহদরের লাশের জানাজা শেষে মসজিদ গোরস্তানে দাফন করা হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, একইদিন (শনিবার সন্ধ্যায়) দুই সন্তানের পর বাবা শাহনেওয়াজ (৫০) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শাহনেওয়াজের স্ত্রী সুমাইয়া বেগমের (৪০) অবস্থাও আশংকাজন। সূত্রে আরও জানা গেছে, বরিশাল নগরীর নবগ্রাম এলাকার বাসিন্দা আলতাফ হোসেন খানের ছোট কন্যা সুমাইয়া আক্তার, তার স্বামী ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রকৌশল বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার ঝালকাঠি শহরের কাঠপট্টি রোড এলাকার বাসিন্দা মোঃ শাহনেওয়াজ তাদের তিন পুত্র সন্তান নিয়ে ঢাকায় বসবাস করে আসছিলেন। শুক্রবার সকাল সাতটার দিকে উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের ৩ নম্বর রোডের ৮ নম্বর বাড়ির সাত তলা ভবনের সপ্তম তলার ফ্লাটে রান্না ঘরে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে তাদের একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে অগ্নিদগ্ধ শালিল বিন নেওয়াজ (১৫) এবং এক ঘন্টা পর ১৪ মাস বয়সী জায়ান বিন নেওয়াজ মারা যায়। শনিবার সন্ধ্যায় দুই সন্তানের পর বাবা শাহনেওয়াজও মৃত্যু বরন করেন। এরমধ্যে শাহনেওয়াজের মেঝ পুত্র জারিফ বিন নেওয়াজ ভালো আছে। তার শরীরের ৮ শতাংশ পুড়েছে। তাকে আশঙ্কামুক্ত হওয়ায় শুক্রবারই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। জারিফ বর্তমানে মুগদায় তার মামার বাসায় রয়েছে। তবে দুই ভাই ও বাবার মৃত্যুর খবর এখনও তাকে জানানো হয়নি। সূত্রে আরও জানা গেছে, আগামী বছর শাহনেওয়াজ পরিবারের যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর কথাছিলো। শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে নিহত দু’সহদরের লাশ বরিশালের নানা বাড়িতে আনা হয়। এখানে জানাজা শেষে মারকাজ মসজিদ গোরস্তানে দুই শিশুকে দাফন করা হয়েছে।