১৫ মার্চের মধ্যে সড়কের অবৈধ দখলদাররা না সরলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে : সেতু মন্ত্রী

0
329

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে দেশের সড়ক ও মহাসড়কের অবৈধ দখলদাররা সরে না গেলে পরবর্তীতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, সড়কের অবৈধ দখল সরাতে গেলে বলবেন ‘গরীব মানুষ মারা হচ্ছে।’ গরীব মানুষ সড়কের জায়গা দখল করে ব্যবসা করবেন তা হবে না। অবৈধ জায়গা দখল মুক্ত না করলে প্রয়োজনে বুলডোজার ব্যবহার করা হবে।
মন্ত্রী রোববার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন সেমিনার কক্ষে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির কার্যকরী পরিষদের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
সমিতির সভাপতি, এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, সংগঠনের নেতা কবির উদ্দিন, রুস্তম আলী খাঁন, আলী আকবর, মোঃ মমতাজ উদ্দিন, মনজুরুল আলম, গোলাম রসুল। এ ছাড়া দেশের জেলাগুলোর বাস মালিক সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকরা বক্তব্য রাখেন।
সেতু মন্ত্রী বলেন, যখন বেগম খালেদা জিয়া অবরোধ ডেকে জ্বালাও-পোড়াও করেছে তখন আপনারা গাড়ীর মালিকরা জীবনের ঝুৃঁকি নিয়ে রাজপথে গাড়ী চলাচলের ব্যবস্থা করেছেন। গাড়ীর মালিকদের কারনে অর্থনীতি সচল রয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও যাত্রী সাধারণের নির্বিঘœ চলাচল নিশ্চিত করতে বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়ককে চার লেন উন্নীতকরণ, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ফ্লাইওভার ও আন্ডারপাস নির্মাণসহ যুগান্তকারী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
মন্ত্রী সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বিভাগীয় পর্যায়ে পরিবহন শ্রমিকদের বন্ধ প্রায় বিশেষ প্রশিক্ষণ ও কাউন্সিলিং এর উপর গুরুত্বারোপ করেন। এ ব্যাপারে পরিবহন মালিক সমিতিকে সরকারের সহায়ক ভূমিকা পালন করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন ইতোপূর্বে ২২টি মহাসড়কে থ্রি হুইলার ও অটোরিক্সা বন্ধ করা হলেও বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে শতকরা ১০ ভাগ অবৈধ পরিবহন চলছে, যা সমর্থন যোগ্য নয়। এতে করে প্রায়ই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। তিনি মালিক সমিতির সদস্যদেরকে প্রতিটি গাড়ির ফিটনেস বজায় রাখাসহ সাজসজ্জার দিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দেন।
প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ দলীয় জোটের হরতাল-অবরোধের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের প্রায় ৬০ কোটি টাকা প্রদান করেছেন। যা অতীতে কোন সরকার করেনি। এতে বর্তমান সরকারের পরিবহন শিল্প বান্ধব নীতির প্রতিফলন ঘটেছে।
তিনি সড়ক পরিবহন সমিতিকে অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করে প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও এলাকা এলাকায় গণতান্ত্রিক উপায়ে নেতৃত্ব নির্বাচনের উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, এতে করে মালিক-শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত হবে।
এর আগে সমিতির সদস্যগণকে প্রতিটি জেলার আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সদস্যপদ দান, যখন তখন গাড়ি রিকুইজিশন বন্ধ ও বিভিন্ন ধরণের হয়রানি বন্ধসহ দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। এসব সমাধানে সরকারের সদয় দৃষ্টি কামনা করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here