এশিয়া কাপ টুয়েন্টি টুয়েন্টি ক্রিকেটের ষষ্ঠ ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। ফলে প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে ৫ উইকেটে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম জয়ের স্বাদ পেলো তারা। এ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১২৯ রান করে আরব আমিরাত। জবাবে ৮ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে সংযুক্ত আরব আমিরাত। শুরুটা মোটেও ভালো করতে পারেনি তারা। ১২ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে আরব আমিরাত। এরপর দলীয় ৪১ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় দলটি। ফলে নিজেদের স্কোর নিয়েই বেশ চিন্তায় পড়ে যায় আমিরাত।
তবে মিডল-অর্ডারে সায়মন আনোয়ার দলের হয়ে রান জড়ো করেন ভালোভাবেই। তাকে সঙ্গ দিয়েছেন মুহাম্মদ উসমান। তাতে সম্মানজনক স্কোরের পথ পেয়ে যায় আরব আমিরাত। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করে ফিরেন আনোয়ার। তার ৪২ বলের ইনিংসে ৫টি চার এবং ২টি ছক্কার মার ছিলো। উসমানের ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ২১ রান। তবে শেষদিকে দলকে সম্মানজনক স্কোরে পৌছে দেন অধিনায়ক আমজাদ জাভেদ। ৩টি বাউন্ডারি ও ২টি ওভার বাউন্ডারিতে ১৮ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন আমজাদ। তার সঙ্গী মোহাম্মদ নাভিদ ৫ বল মোকাবেলা করে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন। ৪ ওভার বোলিং করে ১ মেডেনসহ ৬ রানে ২ উইকেট শিকার করনে মোহাম্মদ আমির। তার ইকোনমি রেট ছিলো ১.৫০। টি-২০ ক্যারিয়ারে এটি সেরা ইকোনমি রেট ছিলো আমিরের। এছাড়া ৩০ রানে ২ উইকেট নেন মোহাম্ম ইরফান।
জবাবে নিজেদের ইনিংসের শুরুতে বিপদে পড়ে পাকিস্তানও। ১৭ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। ফলে ম্যাচ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়ে যায় আফ্রিদির দল। তবে চতুর্থ উইকেটে জুটি বেঁেধ ধীরে ধীরে ইনিংস মেরামতের কাজটা ভালোভাবেই করেন উমর আকমল ও শোয়েব মালিক। তাতে দুঃশ্চিন্তা দূর হয় পাকিস্তানের।
দলের দুঃশ্চিন্তা দূর করার পর জয় নিয়ে ভাবতে শুরু করে দেন উমর ও মালিক। সেই ভাবনা ১৮.৪তম ওভারে গিয়ে বাস্তবতা পায়। বাউন্ডারি হাকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন মালিক। ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৯ বলে ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন মালিক। ৪৬ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন উমর। আরব আমিরাতে আমজাদ ৩ উইকেট শিকার করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
সংযুক্ত আরব আমিরাত : ১২৯/৬, ২০ ওভার (সায়মন ৪৬, আমজাদ ২৭*, আমির ২/৬)।
পাকিস্তান : ১৩১/৩, ১৮.৪ ওভার (মালিক ৬৩*, উমর ৫০*, জাভেদ ৩/৩৬)।
ফল : পাকিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ শোয়েব মালিক (পাকিস্তান)।