দেশের সামুদ্রিক এলাকা, অন্যান্য জলসীমা, উপকূলীয় অঞ্চল এবং বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমারেখা সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণ এবং বিভিন্ন অপরাধ সংঘটন প্রতিরোধে কোস্টগার্ড নামে আধা-সামরিক বাহিনী গঠনের বিধান করে গতকাল সংসদে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বিল-২০১৬ পাস করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন।
বিলে বাহিনী গঠন, বাহিনীর জনবল কাঠামো, পদায়ন, অধিভুক্ত ব্যক্তি, বাহিনীর কার্যাবলী, ক্ষমতা, বাহিনীর সদস্যদের ক্ষমতা, দায়িত্ব, বাহিনীর শৃংখলা, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি, সোপর্দকরণ চাকরির শর্তাবলী, অব্যাহতি, ট্রেড ইউনিয়ন, বদলির ছুটি, চাকরিতে বরখাস্ত বা অপসারণ বা অব্যাহতি, চাকরি অবসানসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধান করা হয়েছে।
বিলে মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক, উপ-মহাপরিচালক, কোস্টগার্ড সচিবসহ মোট বাহিনীর ২৩টি বিভিন্ন পদ নিয়ে কোস্টগার্ড বাহিনী গঠনের বিধান করা হয়েছে।
বিলে অপরাধ ও অপরাধ সংঘটন, অপরাধের প্রকারভেদ, বিশেষ করে যুদ্ধ বা সক্রিয় কর্তব্য অবস্থায় অপরাধ, চাকরি থেকে পলায়ন, ছুটি ব্যতিত অনুপস্থিতিসহ বাহিনীর সদস্যদের বিভিন্ন অপরাধ, গ্রেফতার ও এর বিরুদ্ধে প্রকারভেদে মৃত্যুদ-, যাবজ্জীবন কারাদ-, জরিমানা, চাকরি থেকে বরখাস্তসহ বিভিন্ন শাস্তির বিধান করা হয়েছে।
বিলে এসব অপরাধের জন্য কোস্টগার্ড আদালত গঠন, আদালতের কার্যক্রম, এখতিয়ার, আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন, স্পেশাল সামারি কোস্টগার্ড আদালত, রায় ও দন্ডাদেশ অনুমোদন ও পুনঃনিরীক্ষণ, দন্ডাদেশ স্থগিত, বিধি ও প্রবিধি প্রণয়নের ক্ষমতাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়া বিলে কোস্টগার্ড আইন-১৯৯৪ রহিত করা ও এর অধীনে প্রতিষ্ঠিত কোস্টগার্ড অধিদপ্তর বিলুপ্ত করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, সেলিম উদ্দিন, নূরুল ইসলাম ওমর, নূরুল ইসলাম মিলন, বেগম নূর-ই হাসনা লিলি চৌধুরী, বেগম রওশন আরা মান্নান ও স্বতন্ত্র সদস্য আব্দুল মতিন বিলের ওপর জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব আনেন। পরে কন্ঠভোটে প্রস্তাবগুলো নাকচ হয়ে যায়।