সকল বাণিজ্যিক ভবনে গাড়ি পাকিং-এর জন্য নিজস্ব স্থান থাকতে হবে : গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী

0
305

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন,সকল বাণিজ্যক প্রতিষ্ঠান ও হোটেলের গাড়ি পার্কিং-এর জন্য নিজস্ব জায়গা রাখতে হবে।
তিনি বলেন,প্রয়োজনে নিচতলা ভেঙ্গে ফেলে সেখানে গাড়ি পাকিং-এর ব্যবস্থা করতে হবে। যেসকল ভবনে গাড়ি পার্কিংএর জন্য বেসমেন্ট নির্মাণ করে তা বাণিজ্যিকভাবে ব্যহার করা হচ্ছে সে সকল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করা হবে।
তিনি গতকাল গুলশান ক্লাবে অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আয়োজিত আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক ব্যবসা পরিচালনা বিষয়ক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, রাজউকের চেয়ারম্যান জি এম জয়নাল আবেদীন, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও গুলশান সোসাইটির সভাাপতি এ টি এম শামসুল হুদা।
মন্ত্রী বলেন, পার্কিংএর ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তায় গাড়ি রাখা হচ্ছে। ফলে যানজট বাড়ছে। আবাসিক এলাকায় অনঅনুমোদিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও অফিস পরিচালনা করে অন্যান্য বাসিন্দাদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করা হচ্ছে। এতে ওই এলাকার আবাসিক বৈশিষ্ট্যও নষ্ট হচ্ছে।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় অনুমোদন ছাড়া গড়ে ওঠা অফিসগুলোকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে সকল আবাসিক এলাকায় এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্ত্রী বলেন,একদিকে আবাসিক এলাকায় অফিস স্থাপন করে সমস্যার সৃষ্টি করা হচ্ছে, অপরদিকে অনেক অনুমোদিত বাণিজ্যিক ভবন ভাড়া দিতে পারছে না।
আলোচনা সভায় গুলশান, বনানী, উত্তরাসহ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিগণ আবাসিক এলাকায় তাদের ব্যবসা পরিচালনার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরনে। উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও রাজউকের চেয়ারম্যার প্রতিনিধিদের বক্তব্যের জবাব দেন।
মেয়র আনিসুল হক জানান, সিটি করপোরেশন দু’টির জরিপ অনুযায়ী উত্তর এলাকায় ৪৫৯টি অনুমোদিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরমধ্যে ১৮৮টির বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। আর অনঅনুমোদিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা চার হাজার ৬৯৪টি।
অপরদিকে দক্ষিণ এলাকায় ১০৯টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন রয়েছে এবং ৬০৬টি প্রতিষ্ঠানের কোন অনুমোদন নেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here