স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী (এলজিআরডি মন্ত্রী) ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন কাঙ্খিত জাতীয় উন্নয়ন অর্জনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে সবাইকে একযোগে কাজ কাজ করার আহবান জানিয়েছেন।
তিনি আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জাতীয় পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশনের ৩১তম বার্ষিক সাধারন সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহবান জানান।
‘সমবায়’ই অর্থনৈতিক উন্নয়নের চাবিকাঠি এবং সার্বিক উন্নয়নেরও অন্যতম চালিকাশক্তি’- এ কথা উল্লেখ করে এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সমবায়ের অবদান অনস্বীকার্য।
বাংলাদেশ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশনের সভাপতি সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সমবায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মফিজুল ইসলাম।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, সমবায়ের ইতিহাস অনেক পুরোনো। তাই ‘সমবায়ের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পারার পেছনে ব্যক্তিগত দুর্বলতা থাকতে পারে কিন্তু সমবায়ের ব্যর্থতা নেই’।
এ দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করতে সমবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সমবায়ের আওতায় যে সম্পদগুলো রয়েছে তার সুষ্ঠু ও সমন্বিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে ২০২১ সালের আগেই দেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।’
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশে ৪০ হাজারের বেশি ‘একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প’ রয়েছে। এসব প্রকল্প’কে পর্যায়ক্রমে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে সমবায় সমিতিতে রূপান্তরিত করা হবে।
এ অনুষ্ঠানে সারা দেশের সমবায় সমিতিগুলোর প্রতিনিধিদের দাবির প্রেক্ষিতে যুক্তিযুক্ত সকল দাবি-দাওয়া পূরণ করার আশ্বাস দিয়ে এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে কৃষি ঋণের সুদের ক্ষেত্রে সরকার ৪২৫ কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে।তিনি বলেন, সমবায় সমিতিগুলো থেকে সহজ শর্তে এবং কোন ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই যাতে সবাই ঋণ পেতে পারে এজন্য সরকার সমবায় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছে।