জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন পশ্চিম ও উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোতে সফরের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রাতে মৌরিতানিয়ার রাজধানী নোউয়াকোটে পৌঁছেছেন।
মৌরিতানিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা এএমআই একথা জানিয়েছে।
শুক্রবার প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ওউলদ আব্দেল আজিজ ও প্রধানমন্ত্রী ইয়াহিয়া ওউলদ হেডমাইনের সঙ্গে তার বৈঠকের পরিকল্পনা রয়েছে।
বারকিনা ফাসো থেকে মৌরিতানিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার আগে বান আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে জিহাদিদের ব্যাপক হামলার বিষয়ে ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করেন।
চলমান সফরে বারকিনা ফাসোতেই তিনি প্রথম পা রাখেন।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
তিনি ওউয়াগাদোউগোউতে বলেন, ‘আমি এই (সাহেল) অঞ্চলে চলমান সন্ত্রাসী হামলার কারণে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সর্বত্র সন্ত্রাসবাদকে মোকাবিলা করতেই হবে।’
তিনি ‘মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইনকে যথাযথভাবে মেনে চলার’ আহ্বান জানান।
১৫ জানুয়ারি বারকিনা ফাসোতে জঙ্গিদের সমন্বিত হামলায় ৩১ জন প্রাণ হারায়। এদের মধ্যে ওউয়াগাদোউগোউয়ে ২৮ জন নিহত হয়। শহরটির একটি হোটেল ও পার্শ্ববর্তী একটি ক্যাফেতে হামলা চালানো হয়। ক্যাফেটি পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়।
বান বলেন, ‘আমি এই সাহেল অঞ্চলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা অব্যাহত রাখা নিশ্চিত করার জন্যই এই অঞ্চলটিতে আবার ফিরে এসেছি। আমি সচেতনতা বৃদ্ধির কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে আজ সন্ধ্যায় মৌরিতানিয়া যাচ্ছি।’
মৌরিতানিয়ায় ‘দেশটির সঙ্গে জাতিসংঘের সহযোগিতামূলক সম্পর্কের বিষয়ে’ আলোচনা করার কথা রয়েছে।
এ সময় মূলত আফ্রিকায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে মৌরিতানিয়ার ‘ক্রমবর্ধমান ভূমিকা ও সমর্থনের ব্যাপারে’ আলোচনা হবে।
আইভরিকোস্ট, মধ্য আফ্রিকান রিপাবলিক এবং সুদানের দারপুরসহ বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে মৌরিতানিয়ার প্রায় ১ হাজার নাগরিক (সৈন্য) মোতায়েন রয়েছে।
বারকিনার পর বানের আলজেরিয়া যাওয়ার কথা রয়েছে।