জামায়াত-বিএনপির সুরে কথা বলছেন প্রধান বিচারপতি

0
411

জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর বিচারপ্রার্থীরা হতাশ ও বিচারপ্রার্থীদের মনে সন্দেহ রয়েছে বলে মনে করছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, জামায়াত-বিএনপি এবং তাদের লবিস্টরা যে সুরে কথা বলছে, সে কথাটা আজকে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ্যে বলেছেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক বর্ধিত সভায় আজ রবিবার দুপুরে তিনি এ সব কথা বলেন। কামরুল ইসলাম বলেছেন, আগামী ৮ তারিখ শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর আপিলের রায়। আপনারা নিশ্চই জানেন, একাত্তরের ঘাতকদের বিচার আমরা করছি, চারজনের বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। নিজামীর মৃত্যুদণ্ড আপিলে বহাল রেখেছে। এই পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। যথাসময় কার্যকর হবে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা অতীতে সকল রায়ের সময় যেভাবে মাঠে ছিলাম, ৮ তারিখ তেমনি মাঠে থাকব। আজকে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এই বিচার সম্পর্কে কথা উঠছে। প্রসিকিউশন রাজনীতি করছে, এ কথা উঠছে। অর্থাৎ জামায়াত-বিএনপি এবং তাদের লবিস্টরা যে সুরে কথা বলছে, সে কথাটা আজকে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ্যে বলেছেন। প্রসিকিউশন এবং ইনভেস্টিগেশনকে এক কাতারে দাঁড় করানোর কথাও তিনি (প্রধান বিচারপতি) বলেছেন। অথচ এই প্রসিকিউশন ২৩টি মামলা নিস্পত্তি করেছেন। দুজনের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে এবং সকল মামলা তারা (বর্তমান প্রসিকিউশন) সফলভাবে পরিচালনা করছেন। তিনি বলেন, আমরা এত কিছু বুঝি না, আমরা প্রত্যাশিত রায় চাই। একজন মন্ত্রী হিসেবে নয়, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে, একজন সাধারণ বিচারপ্রার্থী হিসেবে এই মামলারও বিচারপ্রার্থী। বিচারপ্রার্থীরা আজ হতাশ। এই বিচারের রায় কি হবে তাদের মনে একটা সন্দেহ আছে। আমরা প্রত্যাশা করি আমাদের সন্দেহ দূর হবে। আমরা প্রত্যাশিত রায় ৮ তারিখ পাবো। নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ৮ তারিখ মীর কাসেম আলীর রায় ঘোষণা হবে। আমরা অধীর আগ্রহে বসে আছি, তার সর্বোচ্চ সাজা দেখার জন্য। শহীদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলতে চাই, যদি ওলট-পালট হয় তাহলে শহীদদের আত্মা তাদেরকে ক্ষমা করবে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here