বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী গতকাল শনিবার ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর সাথে তাঁর বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা দু‘দেশের দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
এ সময় ভারতের রাষ্ট্রপতি লোকসভার আমন্ত্রণে ‘ভারতের মহিলা আইন প্রণেতাদের জাতীয় সম্মেলন’-এ যোগ দেয়ার জন্য নয়াদিল্লী সফর করায় স্পিকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্র আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হয়েছে। এর ফলে দু’টি আন্তর্জাতিক পার্লামেন্টারী ফোরাম সিপিএ ও আইপিএ প্রধান বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত হয়েছে।
ভারতের রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী ও গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন ঘটছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখায় বাংলাদেশ প্রশংসিত হচ্ছে।
প্রণব মুখার্জী আরো বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত চুক্তি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিলো। তাই তাঁর স্বল্পকালীন শাসন আমলে তিনি এ চুক্তি করতে পেরেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশের সীমানা চুক্তি বাস্তবায়িত হয়েছে। এই চুক্তি বাস্তবায়ন করতে পেরে ভারতও আনন্দিত বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সাক্ষাৎ প্রদানের জন্য রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বর্তমানে অনেক সৌহার্দ্যপূর্ণ।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ভারত সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে। এ ছাড়া দু-দেশের পার্লামেন্ট ও সংসদ সদস্যদের মধ্যে সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও নিবিড় হবে। এর ফলে দু’দেশের জনগণ ও গণতন্ত্র উপকৃত হবে বলে স্পিকার উল্লেখ করেন।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতার অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। এ সকল বিষয়ে আলাপ আলোচনা অব্যাহত রয়েছে এবং সহসাই এ সকল সহযোগিতার দ্বার উম্মুক্ত হবে।
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা স্বীকার করে স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ঐতিহাসিক এবং ক্রমান্বয়ে এটি আরও সম্প্রসারিত হচ্ছে।
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা বলা হয়।
