দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র সোমবার তাদের এ যাবতকালের সবচে বড়ো যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে। এদিকে এর প্রতিক্রিয়ায় উত্তর কোরিয়া নতুন করে সিউল ও যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখন্ডে ‘নির্বিচারে’ পারমাণবিক হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে।
বার্ষিক এ সামরিক মহড়াকে কেন্দ্র করে বিভক্ত কোরীয় উপদ্বীপে সব সময়ই উত্তেজনা বেড়ে যায়। কিন্তু এ বছর উত্তর কোরিয়ার সাম্পতিক পারমাণবিক পরীক্ষা ও দূর পাল্লার রকেট উৎক্ষেপণের ফলে পরিস্থিতি আরো উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। উত্তর কোরিয়ার এ ধরনের হঠকারিতামূলক কর্মকান্ড চালানোয় জাতিসংঘ পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে নতুন করে কঠোর অবরোধ আরোপ করে।
‘কী রিসলভ এ্যান্ড ফোয়াল ঈগল’ নামের এ যৌথ মহড়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার তিন লাখ ও যুক্তরাষ্ট্রের ১৫ হাজার সৈন্য অংশ নিয়েছে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর জাহাজ ও বিমানবাহিনীর যুদ্ধ বিমানও মহড়ায় অংশ নিচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়া শুরুর কয়েক ঘন্টা আগে দেয়া এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার শক্তিশালী জাতীয় প্রতিরক্ষা কমিশন জানায়, তারা প্রতিপক্ষের সামরিক হামলা মোকাবেলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
বিবৃতিতে বলা হয়, শত্রুপক্ষের যৌথ সামরিক মহড়া উত্তর কোরিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর অঘোষিত পারমাণবিক যুদ্ধ মহড়া। এক্ষেত্রে পিয়ংইয়ং তাদের শত্রুপক্ষের পারমাণবিক হামলা বানচাল ও মোকাবেলায় প্রস্তুত। এ লক্ষে যে কোন মুহূর্তে ব্যবহারের জন্যে অস্ত্রও হাতের নাগালে রাখা হয়েছে।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে কঠোর অবরোধ প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাশ হওয়ার পর দেশটির নেতা কিম জং-উন যেকোন সময় ব্যবহারের জন্যে তাদের পরমাণু অস্ত্র প্রস্তুত রাখতে বলেন। এর মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে দেশটি যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ায় এ হামলার হুমকি দিলো।