বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, পর্যটন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ও ভাবমূর্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি বিশ্বের দেশে দেশে মানুষের মধ্যে সৌহার্দ সম্প্রীতি সৃষ্টিতে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করে। তাই সরকার পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও প্রসারের প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ দিয়েছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী সাবরাংএক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোনের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেছেন। দোহাজারি থেকে কক্সবাজার হয়ে গুনধুম পর্যন্ত রেল লাইন স্থাপনের কাজ শুরু হচ্ছে। কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ স্থাপনের কাজ শুরু হচ্ছে। এ ছাড়া লেবুখালি ব্রিজ নির্মিত হওয়ায় পটুয়াখালী থেকে কুয়াকাটা আর কোন ফেরি থাকবে না। এর ফলে পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারবেন। সমুদ্রবন্দর মংলায় একটি থ্রি স্টার হোটেল নির্মণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি বৃহত্তর সিলেটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে পর্যটন সম্ভাবনায় রূপ দিতে একটি কর্মপরিকল্পা প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি আজ দুপুরে মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের (বিটিবি) নতুন কার্যালয় (হোটেল ইন্টারকন্টিন্টোল’র এনেক্স ভবন) পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে এ সব উদ্যোগের কথা জানান।
মন্ত্রী আরও বলেন, ইউনেস্কো ঘোষিত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট সুন্দরবনকে আরও নান্দনিকভাবে উপস্থাপনের জন্য জাতিসংঘের পর্যটন বিষয়ক সংস্থা ইউএনডব্লিউটিএ এ প্রস্তাব দিয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী, বিটিবি’র সিইও আখতারুজ্জামান খান কবির, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ড. অপরূপ চৌধুরী, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ বেতারের উপ-মহাপরিচালক (বার্তা) নারায়ন চন্দ্র শীলসহ টোয়াব, টিডাভ, ট্রিয়াব, বিহাসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিবৃন্দ।