যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের স্ত্রী ন্যান্সি রিগ্যান আর নেই। তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। গতকাল রোববার লস অ্যাঞ্জেলেসে নিজ বাসভবনে তিনি মারা যান।
সাবেক এই ফার্স্ট লেডির মহিলা মুখপাত্র জনি ড্রেক জানান, ন্যান্সি রিগ্যান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। বেশ কয়েক বছর ধরে তার স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছিল। ক্যালিফোর্নিয়ার সিমি উপত্যকায় স্বামীর কবরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হবে।
১৯৮১ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত আমেরিকার ফার্স্ট লেডি ছিলেন তিনি। স্বামী প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরের বছর ১৯৮২ সালে মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘কেবল না বলো’ শ্লোগান নিয়ে প্রচারণা শুরু করে ন্যান্সি নিজের একটি পৃথক অবস্থান তৈরি করে নেন।
হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর তিনি আলঝেইমার রোগে আক্রান্ত তার স্বামীর ১০ বছর সেবা যতœ করেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা তাকে ‘গর্বিত উদাহরণ’ বলে উল্লেখ করেন।
ওবামা দম্পতি বলেন, ‘আমরা ন্যান্সি রিগ্যানের প্রতি কৃতজ্ঞ এবং দিক নির্দেশনার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। প্রার্থনা করি, তিনি ও তার প্রিয়তম স্বামী আবারো একসঙ্গে হবেন।’
সাবেক ফার্স্ট লেডি বারবারা বুশ বলেন, ন্যান্সি তার স্বামীর প্রতি গভীর অনুরক্ত ছিলেন এবং তারা আবারো একসঙ্গে হতে পারবেন ভেবে ভাল লাগছে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ বলেন, ন্যান্সি রিগ্যান তার স্বামীর প্রতি গভীর বিশ্বস্ত ছিলেন। হোয়াইট হাউসের ওপর তার প্রভাব সম্পূর্ণ ও স্থায়ী ছিল।
ক্যালিফোর্নিয়ার সাবেক গভর্নর ও অ্যাকশনধর্মী মুভি স্টার আরনল্ড শোয়ার্জনেগার তাকে তার অন্যতম নায়িকা বলে উল্লেখ করেন।
রোনাল্ড রিগ্যানের প্রথম স্ত্রী ছিলেন অভিনেত্রী জেন উইম্যান। তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর ১৯৫২ সালে রিগ্যান ও ন্যান্সি বিয়ে করেন। ন্যান্সি একসময় মঞ্চ, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনে অভিনয় করতেন।