আওয়ামী লীগে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ছিল আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। যেখানে মুক্তিযুদ্ধের সব নির্দেশনা ছিলো।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পর নিরস্ত্র বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়ে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে। ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতা। ৭ মার্চের ভাষণ গোটা বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করেছে, নিরস্ত্র বাঙালিকে সশস্ত্র বাঙালিতে পরিণত করেছে। তাই ঐতিহাসিক এই দিনটি আমাদের অনুপ্রেরণা।
তোফায়েল আহমেদ আজ সোমবার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের শ্রদ্ধা জানানোর পর এ কথা বলেন।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে দলের সিনিয়র নেতা তোফায়েল আহমেদ বলেন, মূলত ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু ‘অনানুষ্ঠানিকভাবে’ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। পরে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে গ্রেফতার হওয়ার আগে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। জঙ্গিদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না। যারা এখনও স্বাধীনতার বিরোধিতা করে তারাই বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক। মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি করে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া নিজেকে পাকিস্তানের প্রতিনিধিই প্রমাণ করেছেন।
আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে। এটা বিচার বিভাগের বিষয়। বিচারাধীন বিষয়ে কারো কোনো মন্তব্য করা ঠিক নয়।