মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড আপিল বিভাগে বহাল রাখায় ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠিত, বিভ্রান্তি দূর হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ-১ মঙ্গলবার সকালে এ রায় বহাল রাখেন। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় রাশেদ খান মেনন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আমি মনে করি এ রায়ে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। যুদ্ধাপরাধের ভিত্তিতে যে বিচার চলছে তার ন্যায্যতা ও স্বচ্ছতাও এর মাধ্যমে প্র্রতিষ্ঠিত হলো। এ নিয়ে মাঝখানে যে সব বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছিল এর মাধ্যমে সেটাও দূর হয়ে গেল। আমি মনে করি, আমাদের সবারই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রশ্নে একেবারে একনিষ্ঠ থেকে একে সমর্থন করে যেতে হবে। বিমানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা আশা করি এ রায় শিগগিরই কার্যকর হবে। মীর কাসেম আলীর বিচার নিয়ে কয়েক দিন আগে সরকারের দুই মন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির এক অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মীর কাসেম আলীর আপিলের পুনঃশুনানির দাবি জানান। এ মামলার শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতির বিভিন্ন বক্তব্যের সমালোচনাও করেন তিনি। একই সভায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বলছি, এ রায় নিয়ে যে শঙ্কা এখন একটি সংকটে পরিণত হয়েছে। তবে এ সংকট আমাদের সৃষ্ট নয়। সংকট সৃষ্টি করেছেন আমাদের মাননীয় প্রধান বিচারপতি। এটাই আমাদের দুঃখ। রায়ের আগে প্রধান বিচারপতি যদি এমন কথা বলেন তাহলে জাতি কোথায় যাবে বলেও প্রশ্ন তোলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী।