প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এলাকার জীববৈচিত্রের সুরক্ষা নিশ্চিত করে কালিয়াকৈরে নির্মাণাধীন হাই টেক পার্ককে একটি পূর্ণাঙ্গ তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ তাঁর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে হাইটেক পার্ক বোর্ড অব গভর্নরস’এর প্রথম সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ নির্দেশনা প্রদান করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার ১৯৯৯ সালে বিনিয়োগ বের্ডের এক সভায় কালিয়াকৈরে হাইটেক পার্ক স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে এগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণই যার মূল লক্ষ্য ছিল। এই পার্ক স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানীরও মূল কেন্দ্রস্থল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে জানান, হাইটেক কতৃর্পক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম হাইটেক পার্ক স্থাপনের অগ্রগতির বিষয়ে সভায় একটি ’পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেনটেশন’ উপস্থাপন করেন।
হোসনে আরা বৈঠকে জানান, তিনতলা প্রশাসনিক ভবন ইতোমধ্যেই নির্মিত হয়েছে এবং কালিয়াকৈরে ৪ দশমিক ২৭ কিলোমিটার অভ্যন্তরীণ রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র এবং ২ দশমিক ৫ কিলোমিটার এইচটি লাইন, ফাইবার অপটিক সংযোগ, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ এবং পার্কের বেষ্টনী দেয়াল নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।
সভায় প্রধানমন্ত্রী দেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য দশ লাখ কর্মসংস্থান এবং ৫শ’ কোটি ডলার রফতানি আয়ের নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলায় সরকারের পরিকল্পনার কথা পুনরোল্লেখ করে বলেন, হাইটেক পার্কে বিশ্বমানের বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত করা হবে।
২০২১ সালে আইটি সেক্টরে দশ লাখ লোকের কর্মসংস্থান এবং এ সেক্টর থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানী করার টার্গেট নিয়ে কালিয়াকৈরে ৩৫৫ একর জমির ওপর পিপিপি’র ভিত্তিতে হাই-টেক পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে।
সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরিফ, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মজিবুল হক চন্নু, তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দ এ সামাদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ড. আতিউর রহমান, মূখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ’সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, ঢাকায় জনতা টাওয়ার সফটওয়ার টেকনোলজি পার্ক ও মহাখালী আইটি ভিলেজ, যশোরে সফটওয়ার টেকনোলজি পার্ক, সিলেট ইলেকট্রনিক্স সিটি এবং রাজশাহীতে বরেন্দ্র সিলিকন সিটি স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে।
এছাড়া, গোপালগঞ্জ, কুমিল্লা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকার কেরানীগঞ্জ, জামালপুর এবং নাটোরে আইটি পার্ক প্রতিষ্ঠার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও অবহিত করা হয়।