বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ২০২১ সালে দেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীতে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৬০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে।
মাসব্যাপী ২৪তম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৬ উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, আমরা দৃঢ় ভাবে আত্মবিশ্বাসী যে বাংলাদেশ এই প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে, কারণ আমাদের নীতিতে রয়েছে- গতিশীল বেসরকারি খাত, শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তি, মৌলিক, কৌশলগত অবস্থান ও আমাদের জনগণের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা।
মন্ত্রী বলেন, গার্মেন্টস, মেডিসিন, চামড়া, জাহাজ নির্মাণ ও তথ্য প্রযুক্তি (আইটি) সহ সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে।
নগরীর পলোগ্রাউন্ডে চিটাগং চেম্বার আয়োজিত বাণিজ্য মেলায় তোফায়েল আহমেদ বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোতে পরবর্তী ২০ বছরের মধ্যে ২ মিলিয়ন প্রোগ্রামার প্রয়োজন হবে। তেমন আগামী ৫ বছরের মধ্যে আমাদের দেশে কয়েক হাজার প্রোগ্রামারের প্রয়োজন হবে। আইটি খাতে এক মিলিয়ন যুবককে কর্মসংস্থানের সুযোগের জন্য তৈরী করতে হবে।
বর্তমান ক্রয় ক্ষমতার সামঞ্জস্য বিবেচনা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ শুধুমাত্র ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে না, বরং খুব শীঘ্রই একটি স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে আবির্ভুত হবে।
তিনি আশা করেন, চলতি অর্থ বছরেই গড়ে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭% হবে।
মন্ত্রী দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত এবং অন্তত বিদ্যমান উন্নয়নশীল অবস্থান থেকে একে উন্নত দেশের অবস্থায় তুলে আনতে আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করার জন্য বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আহ্বায়ক ও চেম্বারের সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, সিটি মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন, চেম্বারের সাবেক সভাপতি এম এ লতিফ এমপি, চেম্বারের সভাপতি মাহবুব আলম ও চেম্বারের সহ-সভাপতি নুরুন নেওয়াজ সেলিম।
রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ডের চার লাখ বর্গফুট এলাকা জুড়ে এই মেলায় প্রায় ৪৫০টি স্টল রয়েছে।
মেলায় চীন, থাইল্যান্ড, ইরান ও ভারতসহ অন্যান্য কিছু দেশের স্টলের সঙ্গে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানের পণ্য থাকছে।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য মেলা উন্মুক্ত থাকবে।