রাজধানীতে বসবাসকারী বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়াদের প্রায় ৬০ শতাংশ তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ করেছে পুলিশ। এ মাসের মধ্যেই বাকি তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ করা হবে। বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের দেওয়া তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করা হবে। যথাযথ নিয়ম ছাড়া এসব তথ্য অন্য কোনো সংস্থাকেও দেওয়া হবে না। এসব তথ্য দিয়ে ডেটাবেইস তৈরি করে তা কেন্দ্রীয়ভাবে সংরক্ষণ করবে মহানগর পুলিশ। মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের দেওয়া তথ্য শতভাগ গোপন রাখা হবে। যথাযথ নিয়ম ছাড়া এসব তথ্য অন্য কোনো সংস্থাকে দেওয়া হবে না।
ঢাকা মহানগর এলাকায় নাগরিকদের তথ্যভাণ্ডার তৈরিতে সব বাড়িওয়ালা-ভাড়াটিয়ার তথ্য চাওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন হাইকোর্ট খারিজ করে দেওয়ার পর মনিরুল ইসলাম বলেন, জঙ্গি তৎপরতা ঠেকাতে ও নগরবাসীর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এসব তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। জঙ্গি ও আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সদস্যসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ভুয়া নাম-পরিচয় দিয়ে অনেকে বাসা ভাড়া নিয়ে জঙ্গি আস্তানা গড়ে তুলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জঙ্গি সংগঠনগুলো যেখানে হামলার পরিকল্পনা করে, সেই এলাকা ও এর আশপাশের এলাকায় বাসা ভাড়া নেয়। নাশকতার শেষে অন্য এলাকায় গিয়ে অন্য নাম-পরিচয় দিয়ে তারা বসবাস করে। পুলিশের কাছে ভাড়াটিয়াদের তথ্য না থাকায় এসব অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয় না বলেও জানান তিনি।
ফরম বিতরণ ও জমা নেওয়া প্রসঙ্গে ডিএমপির একাধিক থানার ওসি জানান, ফরম বিতরণ শেষে প্রায় ৬০ শতাংশ জমা দিয়েছেন বাসার মালিক ও ভাড়াটিয়ারা। এ বিষয়ে রিট আবেদনকারী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, আইন মেনে চলা নাগরিক হিসেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করতে আমি ইচ্ছুক। তবে যে সহায়তা চাওয়া হচ্ছে, তা তাদের আইনগত এখতিয়ারে পড়ে না। এভাবে ব্যক্তিগত তথ্য চাওয়ার আইনগত কোনো সুযোগ পুলিশের নেই।