স্থগিত হওয়া টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর করা আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার এ আপিলের রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে শুনানি শেষে রায়ের দিন ধার্য করেন। কাদের সিদ্দিকীর পক্ষে শুনানি করেন তার আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী। এর আগে সকালে আপিল বিভাগ বসার পরপরই এজলাশে প্রবেশ করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী। এ সময় এ জে মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী ও বেশকিছু দলীয় কর্মী-সমর্থক, নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী ড. মো. ইয়াসিন এবং রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। চেম্বার জজ আদালত কোনো আদেশ না দিয়ে ফুলকোর্টে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। এর আগে গত ৩ মার্চ শুনানির জন্য এটি আপিল বিভাগের তালিকাতে ছিল। সেদিন তারিখ পরিবর্তন করে ১৩ মার্চ শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়। গতকাল কার্যতালিকায় আসলেও তার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি। টাঙ্গাইল-৪ আসনে উপনির্বাচনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে ২০১৫ সালের ২১ অক্টোবর আদেশ দেন হাইকোর্ট। কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্রের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ইসির পক্ষে গত বছর ২৬ অক্টোবর আবেদন দায়ের করেন অ্যাডভোকেট-অন-রেকর্ড ব্যারিস্টার ড. মুহাম্মদ ইয়াসীন খান। ২৭ অক্টোবর টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার কোর্ট। টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে কাদের সিদ্দিকী গত বছর ২০ অক্টোবর হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন। এর আগে ১৩ অক্টোবর টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাইকালে ঋণখেলাপির দায়ে কাদের সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বাতিল করে। এরপর এ দুই প্রার্থী ইসিতে আপিল করেন। ইসি এ দুই প্রার্থীর উপস্থিতিতে শুনানি করে মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে।