নড়াইলের ছেলে হত্যাকারিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন এক অসহায় মা

0
264

নড়াইল প্রতিনিধি:নড়াইলের লোহাগড়ায় একমাত্র ছেলেকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অসহায় মা গোলাপী বেগম। সোমবার সকালে ইসমাইল ওরফে ঠান্ডুর মা গোলাপী বেগম স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে হত্যাকান্ডের বিষয়ে নানা তথ্য উপস্থাপন করেন।
প্রাপ্ত অভিযোগ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার ইতনা মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত মোকসেদ সরদারের ছেলে ইসমাইল ওরফে ঠান্ডু সরদার(৩০) এলাকার পরিচিতজনের ফোন পেয়ে চলতি বছর ২২ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসলেও পরের দিন ২৩ জানুয়ারি ইতনা মধ্যপাড়া গ্রামের একটি পেঁয়াজ ক্ষেতের মাঝে কাচা রাস্তার উপর তার (ইসমাইল ওরফে ঠান্ডু সরদারের) মৃত দেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহতের মা বাদি হয়ে ২৪ জানুয়ারি লোহাগড়া থানায় একই গ্রামের সৈয়দ শাহাজাহানের ছেলে সৈয়দ পলাশ সহ অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ১৬। পুলিশ এ পর্যন্ত শুধুমাত্র সৈয়দ পলাশ কে গ্রেফতার করে জেল হাজাতে পাঠিয়েছে।

ঠান্ডুর মা গোলাপী বেগম অভিযোগ করেন, স্থানীয় একটি মেয়েলি ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতনা গ্রামের সৈয়দ মোহাম্মদের ছেলে জাহাঙ্গীর আমার ছেলেকে মৃত্যুর কয়েকদিন আগে জীবণনাশের হুমকি দিয়েছিল। একই গ্রামের বলাই সরদারের ছেলে রকিব সরদার নিহত ঠান্ডুর চাচাতো ভাই তারেকের মোবাইল ফোনে ফোন করে মৃত্যুর কয়েকদিন আগে ঠান্ডুসহ কয়েকজনকে হাতপায়ের রগ কেটে দেবার হুমকি দিয়েছিল। ইতনা গ্রামের বলাই সরদারের ছেলে গিয়াস ও রকিব, সৈয়দ মোহাম্মদ এর ছেলে আলম ও জাহাঙ্গীর, সৈয়দ জালালের ছেলে সৈয়দ শিমুলসহ অজ্ঞাতরাই সৈয়দ পলাশের নেতৃত্বে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। পুলিশ এজাহারভুক্ত নামধারী আসামী পলাশকে গ্রেফতার করলেও হত্যার সাথে জড়িত অন্যদের ব্যাপারে তেমন অগ্রসর হতে পারেনি। তিনি আশংকা প্রকাশ করেন যে, একটি মহল মামলাটিকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে উঠেপড়ে লেগেছে। ওই মহলটি প্রধান আসামী পলাশের সাথে যোগসাজসে অন্য হত্যাকারিদের আড়াল করতে চাইছে। তিনি বলেন, পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করলে হত্যার সাথে জড়িত সকলের নামই বেরিয়ে আসবে। মামলার তদন্তকারি অফিসার এস,আই নাসির উদ্দিন এ বিষয়ে জানান, গ্রেফতারকৃত আসামি পলাশ হত্যাকান্ডের সাথে নিজের সম্পৃক্ততার কথা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকার করেছেন। বাদি পক্ষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা, তা তদন্তকরে দেখা হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here