বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সোমবার বলেছেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তার অজুহাতে যুক্তরাজ্য কার্গো বিমান চলাচলে যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তা তারা শিগগিরই প্রত্যাহার করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেকের সঙ্গে বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, যুক্তরাজ্য অনির্দিষ্টকালের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল….. এখন বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে আগামী ২০ মার্চ সার্ভিস কন্ট্রাক্টর নামের একটি কোম্পানিকে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে। আমরা আশা করি তারপর সব আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
তোফায়েল আহমেদ জানান, সার্ভিস কন্ট্রাক্টর নামের এই কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো।
এসময় ব্রিটিশ হাইকমিশনার মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, বাংলাদেশের বিমানবন্দরের নিরাপত্তার প্রশ্নে যুক্তরাজ্য কার্গো বিমান চলাচল নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, আশা করা যাচ্ছে এই সমস্য শিগগিরই সমাধান হবে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন সার্ভিস কন্ট্রাক্টর নামের এই বিদেশী কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো কাজ করলে সব ঠিক হয়ে যাবে।
মন্ত্রী বলেন, আমি আশা করি সার্ভিস কন্ট্রাক্টর নামের এই বিদেশী ঠিকাদার কোম্পানি কাজ শুরু করলে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য ওভারহোলিংয়ের কাজ করা হচ্ছে এবং আমরা আমাদের কাজের অংশ হিসেবে টাস্ক গঠন করছি বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন সাংবাদিকদের এমন কথা বলার একদিন পর বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আজ এ মন্তব্য করেন।
বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠকে ব্রিটিশ বিনিয়োগ বাড়ানোর ও যুক্তরাজ্যের ভিসা প্রসেসিংয়ের ব্যাপার সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, এতদিন এই ভিসা প্রসেসিং হতো ঢাকা থেকে। কিন্তু এখন তা দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়েছে। যাতে আবারও এই ভিসা প্রসেসিং ঢাকায় নিয়ে আসা হয় এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্য সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের পক্ষে যুক্তরাজ্যের ইতিবাচক ভূমিকা স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের ‘প্রকৃত বন্ধু’ এবং এই দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক দিন দিন আরো শক্তিশালী হচ্ছে।