সাতক্ষীরা শহরের বাঁকাল বারুইপাড়ায় ত্রাস সৃষ্টি করে জমি জবরদখল ৯ আসামী জেলহাজতে

0
355

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: বোমা ফাটিয়ে ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে অন্যের জমি জবরদখলের চেষ্টার ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে দায়েরকৃত মামলায় নয় আসামীকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার এ মামলার ১৩জন আসামী আদালতে হাজির হয়ে জামিন াবেদন জানালে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মহিবুল হাসান তাদের চারজনকে জামিন মঞ্জুর করে বাকীদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁকাল বারুইপাড়ার শুকজাহান আরা খাতুন ময়না জানান, গত বছরের ১৬ ফ্রেব্র“য়ারি শহরের পলাশপোল মৌজার ১৩৫৭৮, ১৩৫৮১, ১৩৫৮২ ও ১৩৫৮৩ দাগে সাড়ে ৮৪ শতক জমি তার মা জোবেদা খাতুন তার নামে হেবানামা করে দেন। স্বত্ব না থাকলেও লক্ষী বিবি, রহিমন বিবি, গোল বিবিসহ মায়ের কয়েক ফুফাত বোন নওশের আলীর অংশীদার হিসেবে ওই জমির মধ্যে সাড়ে ৮৪ শতক জমি দাবি করে আসছিল। ওই জমি তার মা জোবেদা বেগমের নামে থাকাকালি মামলা করে হেরে যেয়ে সদর সাব রেজিষ্টি অফিসের দলিল লেখক মুনজিতপুরের একেএম মনসুর রহমান, ইটাগাছার সিরাজুল ইসলাম ও একই গ্রামের আব্দুস সবুরসহ ১৫জনের নামে লিখে দেয়। বর্তমানে ওই জমি নিয়ে মুনসুর আরীসহ ১৫ জন দেওয়ানী আদালতে মামলা করেছে। মামলা করেছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে। তিনিও ওই আদালতে একটি ১৪৫ ধারার মামলা করেছেন। সম্প্রতি পুলিশ প্রতিবেদন বিপক্ষে যাওয়ায় তারা পুলিশকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে নতুন করে জবরদখলের প্রক্রিয়া শুরু করে। এরই অংশ হিসেবে গত বুধবার ভোর তিনটার থেকে যোশি বাহিনীর প্রধান মোমিন হাওলাদারের নেতৃত্বে সেখানে জবরদখলের কাজ শুরু ঞয়। নির্মানের কাজ চলে চারটি টিনের ছাপড়া ঘরের। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশ সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক শেখ না মানলে নিরুপায় হয়ে তিনি ১৮ ফেব্র“য়ারি আদালতে ১৫জনের নামে আদালতে দ্রত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেন। বিচারক অভিযোগটি আমলে নিয়ে আইনাননুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। ২৩ ফেব্র“য়ারি থানা মামলাটি রেকর্ড করেন। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা উপপরিদর্শক হেমায়েত হোসেন গত ৩ মার্চ আদালতে অভিয্গোপত্র দাখিল করেন। সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান মোমিন হাওলাদারকে মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। অভিযোগপত্র শুনানীর দিনে গতকাল আসামী সিরাজুল ইসলাম, মুনসুর আলী, এশারত আলী, নুরুল আমিন, ছাকাত আলী, মাওলানা আব্দুল গফফর, আব্দুস সাত্তার, আব্দুল হান্নান, সফিউর রহমান , বাবর আলী, রোমেছা খাতুন, মুজিবর রহমান ওনূর মোহাম্মদ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। এদের মধ্যে বার্ধক্য ও অসুস্থতার কারণে ছাকাত আলী, আব্দুস সাত্তার, রোমেছা বেগম ও বাবর আলীর জামিন লাভ করে।#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here