স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন,স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও সুপেয় পানি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের (এসডিজি) চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও কৌশল নির্ধারণ করেছে।
তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার সময়োপযোগী ও বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।
এলজিআরডি মন্ত্রী বুধবার ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় অনুষ্ঠিত “স্যানিটেশন এন্ড ওয়াটার ফর অল” শীর্ষক মন্ত্রী পর্যায়ের এক আন্তর্জাতিক বৈঠকে উপস্থাপিত কান্ট্রি পেপারে এ কথা বলেন। তিনি এ বৈঠকে স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ও সুপেয় পানি প্রাপ্তি বিষয়ে বাংলাদেশের ভবিষৎ কৌশল ও পরিকল্পনা বিষয়ক কান্ট্রি পেপার উপস্থাপন করেন।
আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
এতে জানানো হয়, গত ১৫ ও ১৬ মার্চ আদ্দিস আবাবায় অনুষ্ঠিত দু’দিনব্যাপি বৈঠকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ইথিওপিয়ার প্রেসিডেন্ট ড. মিউলাতু টেসহোম ।
ইউনিসেফ’র উদ্যোগে আয়োজিত ২ দিন ব্যাপী এ আন্তর্জাতিক বৈঠকে বিশ্বের ৪৫টি দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, এবং এসব দেশের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিগণ এতে অংশ গ্রহণ করেন।
বৈঠকে উপস্থাপিত কান্ট্রি পেপারে খন্দকার মোশাররফ বলেন, সুপেয় পানি নিশ্চিত করাসহ স্যানিটেশনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। বাংলাদেশ সরকার সুপেয় পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের শহর ও গ্রামঞ্চলে বর্তমান সুপেয় পানির উৎস হিসেবে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহৃত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে প্রতি বছর পানির স্তর মাটির গভীরে নেমে যাচ্ছে। এ সমস্যা নিরসনে বাংলাদেশ সরকার ভূগর্ভস্থ পানির পরিবর্তে ভূউপরিস্থ পানির অধিক ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করেছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
খন্দকার মোশাররফ স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও সুপেয় পানি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কর্মকৌশল ও পরিকল্পনা নিয়ে বিশ্বনেতৃবৃন্দ ও উন্নয়ন সহযোগি সংস্থাগুলোর সাথে সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশ’র কাজ করার কথাও পূর্নব্যক্ত করেন।
দু’দিনের এ বৈঠকে সুপেয় পানি, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে সম্মিলিত উদ্যোগ, দায়িত্ব, কর্তব্য, ভবিষৎ কর্মকৌশল নির্ধারণ এবং নতুন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এলজিআরডি মন্ত্রীর ১৯ মার্চ দেশে ফেরার কথা।