কল্যাণ কুমার চন্দ.
উজিরপুরের হারতায় আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী হরেন রায় ও তার সমর্থকদের দফায় দফায় হামলায় ওয়ার্কার্স পার্টির ১০ মহিলাসহ ৩৫ সমর্থক গুরুত্বর আহত হয়েছে। বুধবার বেলা সাড়ে ১২ টায় হারতার কুচিয়ার পাড় এলাকায় ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। ওই সময় আ’লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী হরেন রায় নিজেই ওয়াকার্স পার্টির ৫ সমর্থককে পিটিয়ে আহত করে। এর জের ধরে পরক্ষনে হরেন’র বিচার দাবী করে ওয়াকার্স পার্টির নেতাকর্মীরা হারতা বাজার এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিল করলে স্থানীয় হারতা ক্যাম্পের পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুনরায় বিকাল ৫ টায় জামবাড়ি,জামিরবাড়ি,কালবিলা,কুচিয়ার পাড় সহ দক্ষিন হারতার ওয়াকার্স পার্টির কয়েক হাজার নারী পুরুষ নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে হারতা বাজারের উত্তর পাড় বাজারে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে চাইলে যুবলীগ ক্যাডার নিখিল চক্রবর্তি’র নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের সমর্থকরা তাদের উপর হামলা চালায়,ওয়ার্কার্স পার্টির নেতাকর্মিদের উপর আ”লীগের চলামান হামলার সময় ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা দীপংকর সাহা দীপু সেখানে উপস্থিত থেকে ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন। এ হামলায় ওয়ার্কার্স পার্টির ১০ নারী সহ কমপক্ষে ৩৫ জন আহত হয়েছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মুহুর্তের মধ্যে হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ও ওয়াকার্স পার্টির সমর্থকরা এ ঘটনার প্রতিবাদে জামবাড়ী নামক স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সমাবেশে ওয়াকার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা দীপংকর সাহা দীপু নেতাকর্মীদেরকে ভোট কেন্দ্র পাহাড়া দিয়ে হামলার জবাব দেয়ার আহব্বান জানান। দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে থাকায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সকালে কুচিয়ার পাড় এলাকায় হাতুড়ি মার্কার সমর্থকরা বাড়ীতে বাড়ীতে ভোট প্রার্থনা করতে যাওয়ার সংবাদ পেয়ে আ’লীগের প্রার্থী হরেন রায় ও তার সহযোগী সিরাজ বেপারী,অভিলাস হালদারসহ বেশ কয়েকজন ওই এলাকায় হানা দিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এতে ওয়াকার্স পার্টির প্রার্থী বিমল করাতীর বোন রাশমনি বালাসহ কর্মী সুবাস রায়,অসীম হালদার,ভক্ত বিশ্বাস,লিটন হালদার আহত হয়েছে। বিমল করাতি জানিয়েছেন, তার সমর্থকদের ভোট চাওয়ার অপরাধে হরেনসহ তার সহযোগীরা মারধর করেছে। এভাবে হামলা করে আমাকে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরাতে চাচ্ছে সন্ত্রাসীরা। প্রথম দফায় হরেন রায় এবং ২য় দফায় যুবলীগ ক্যাডার নিখিল চক্রবর্তীর নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। অভিযুক্ত হরেন রায় জানায়, সে ঘটনার সাথে জড়িত ছিল না,তবে তার লোকজনের সাথে হাতুড়ি মার্কার সমর্থকদের বাকবিতন্ডা হয়েছে। আমার মামাতো ভাই ভক্ত বিশ্বাস হাতুড়ির পক্ষে ভোট চাওয়ায় আমি তাকে শাসিয়েছি মাত্র। এ ব্যাপারে উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্য মোঃ নুরুল ইসলাম পিপিএম জানিয়েছেন তিনি ঘটনা শুনেছেন তবে এখনো কোন অভিযোগ পাননি,অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। হামলায় আহত ৪ নারী সহ মোট ৯ জনকে রাত ৮ টায় উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেস্কে ভর্তি করা হয়েছে।