বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দলের আগামী দিনের আন্দোলনের কর্মকৌশল হবে সংগঠন, আন্দোলন ও নির্বাচন। এ কারণে দলের মধ্যে সরকারের অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে। কেননা এরাই গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করে। আজ শনিবার সকালে বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে স্বাগত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। মির্জা ফখরুল স্বাগত বক্তব্যে দাবি করেন, গত কয়েক বছরে সরকারের দমন-পীড়ন ও পুলিশ এবং সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের গুলিতে বিএনপির ৫০২ জন নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে ২২৩ জন নেতা-কর্মী অপহৃত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন চার হাজার। জেল খেটেছেন প্রায় ৭৫ হাজার। প্রায় ২৪ হাজার মামলা হয়েছে এবং এতে চার লাখ ৩০ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। মিথ্যা মামলায় ৫০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। লিখিত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল সরকারের নানা কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করার পাশাপাশি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে দাবি করেছেন। তিনি জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সম্পূর্ণ দলীয় প্রভাবমুক্ত নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানান। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ছিটমহল চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়েছে তিনি বলেন, আমরা আশা করি, তিস্তাসহ অন্যান্য অভিন্ন নদীর পানির ভাগাভাগির বিষয়টি দ্রুত সমাধান হবে। তিনি বলেন, একই সঙ্গে আমরা মনে করি, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পদ ভাগাভাগি ও পাকিস্তানি নাগরিকদের সে দেশে প্রত্যাবর্তনসহ যেসব অমীমাংসিত বিষয় রয়েছে, সেসবের দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত। মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ প্রায় তিরোহিত। তিনি বলেন, আন্দোলনের কর্মকৌশল হবে সংগঠন, আন্দোলন ও নির্বাচন। এ কারণে দলের মধ্যে সরকারের অনুপ্রবেশকারীদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। এরাই গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করে।