মঙ্গলবার শাহজালালের দায়িত্ব নিচ্ছে ব্রিটিশ কম্পানি

0
255

২২ মার্চ মঙ্গলবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে ব্রিটিশ কম্পানি রেডলাইন অ্যান্ড কন্ট্রোল রিস্ক। এ ব্যাপারে সকল প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। আজ বেলা ৩টায় অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রেডলাইন-এর টেকনিক্যাল প্রস্তাব অনুমোদন করার উদ্দেশ্যেই এই জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। এরপর বেলা সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক। দুটি বৈঠকেরই এজেন্ডা একটি। এর আগে বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় গঠিত স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে তিনটি ব্রিটিশ কম্পানি রেডলাইন অ্যান্ড কন্ট্রোল রিস্ক, ওয়েস্ট মিনিস্টার গ্রুপ ও রেস্ট্রাটা পিলগ্রিমস গ্রুপ অ্যান্ড অ্যাডাম স্মিথ ইন্টারন্যাশনালকে তালিকাভুক্ত করা হয়। মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থা ও বিভিন্ন বিমানবন্দরের নিরাপত্তার তারা কাজ করছে। এদিকে শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ৩১ মার্চের মধ্যে যুক্তরাজ্যের দেওয়া কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরুর বিষয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছে দেশটি। সরকাররের ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে বৈঠকে ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন গেল এ বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন। এরপরই বিষয়টি নিয়ে তাড়াহুড়ো করছে বিমান মন্ত্রণালয়। এর আগে গত ৮ মার্চ ঢাকা থেকে যুক্তরাজ্যে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দেয় যুক্তরাজ্য। ওই দিন দেশটির ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্টের বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট আপডেট শীর্ষক এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা পরিস্থিতির সাম্প্রতিক মূল্যায়নে দেখা গেছে, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু বিষয় পূর্ণ করা হয়নি। অন্তবর্তীকালীন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা থেকে সরাসরি ফ্লাইটে যুক্তরাজ্যে কার্গো পরিবহন করতে দেওয়া হবে না। এ নিষেধাজ্ঞার আগে গত বছর ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়াও বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট নিষিদ্ধ করা হয়। যা এখনও বলবৎ আছে। এদিকে গেল সপ্তাহে ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশনারের নেতৃত্বে সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক সভায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়ন ও কার্গো কমপ্লেক্সকে ঢেলে সাজাতে শর্টটার্ম, মিডটার্ম ও লংটার্ম পর্যবেক্ষণ দেয় ব্রিটিশ প্রতিনিধি দল। তাদের প্রস্তাবনার আলোকে সরকারের পক্ষ থেকে সাত সদস্যবিশিষ্ট একটি স্টিয়ারিং কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। গতকাল কমিটির সঙ্গে একটি রিভিউ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বিকালের মধ্যে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে চুক্তি হবে বলে আশা করছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here